কেন্দ্র থেকে বিজেপি সরকার চলে গেলে তাঁতের সুতোর উপর জিএসটি তুলে দেওয়ার আশ্বাস দিলেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রানাঘাট তথা নদিয়ার তাঁতশিল্পীদের কথা কোনওদিন ভাবেনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ভাবেনি তাদের প্রতিনিধি হিসাবে নদিয়া থেকে জয় পাওয়া বিজেপি সাংসদও। এবার রানাঘাটে পালাবদলের ডাক দিয়ে সেই নদিয়া-রানাঘাটের তাঁতশিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার রানাঘাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমনি অধিকারীর সমর্থনে দত্তফুলিয়ায় নির্বাচনী জনসভায় দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন রানাঘাট এলাকার বিপুল সংখ্যক তাঁতশিল্পীদের কথা। তিনি বলেন, “এই রানাঘাট নদিয়া জুড়ে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন লক্ষ তাঁত শ্রমিকের বসবাস। আজকে তাঁতের সুতোর উপর নরেন্দ্র মোদি সরকার জিএসটি বসিয়েছে।”

রানাঘাট থেকে সাংসদ নির্বাচিত হওয়া জগন্নাথ সরকার যে সেই তাঁত শিল্প ও তাঁর সঙ্গে জুড়ে থাকা পরিবারগুলির জন্য গত পাঁচ বছরে কিছুই ভাবেননি সেই উদাহরণও তুলে ধরেন অভিষেক। তিনি বলেন, “জগন্নাথ সরকার, তাঁত শ্রমিকদের কাঁচা সুতোর উপর যখন জিএসটি বসায়, তখন একটা চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রকে? যে আমার লোকসভা কেন্দ্রে তিন লাখ সাড়ে তিন লাখ তাঁতের শ্রমিক থাকে। আজকে কেন্দ্রের এই জনবিরোধী সিদ্ধান্তের কারণে তাঁতের কাজ ছেড়ে তাদের কাউকে টোটো চালাতে হচ্ছে, অটো চালাতে হচ্ছে।”

তবে কেন্দ্রের নীতি ও বিজেপি সাংসদদের জনবিরোধী পথের কথা স্মরণ করিয়েই তিনি থেমে থাকেননি। রানাঘাট থেকেই তাঁতশিল্পের জন্য নতুন আশার কথা শুনিয়েছেন। তিনি আশ্বাস দেন, “এই সরকার বদলাবে। তাঁতশ্রমিকদের সুতোর উপর জিএসটি আমরা শূন্য করব, জিএসটি লাগু হবে না।” সেই সঙ্গে রাজ্য সরকার যেভাবে তাঁতশিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এই অর্থবর্ষে, তাও স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, “মার্চ মাসের ৭ তারিখ রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি করে বলেছে যে আমরা তাঁত শ্রমিক ভাইদের সমবায়ের অধীনে নিয়ে এসে মহাজন আর বড় বড় শাড়ির মালিকদের কাছে ঋণের জন্য টাকা চাইবে না। সরকার তাঁদের ঋণ দেবে।” সভামঞ্চ থেকে সে বিজ্ঞপ্তির কপি তুলে ধরে সাধারণ মানুষকে দেখান তিনি।









































































































































