আজ, শুক্রবার সকাল থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে শুরু বহু প্রতীক্ষিত ১৮ তম লোকসভা নির্বাচন। কার হাতে থাকবে দিল্লির স্টিয়ারিং? দেশের মসনদে কি আবার মোদি, নাকি ইন্ডিয়া জোট? উত্তর মিলবে ৪ জুন। দেড় মাসের সেই লড়াইয়ের আজ চলছে প্রথম পর্ব। গোটা দেশের পাশাপাশি রাজ্যে তিন কেন্দ্র কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। ২১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ১০২টি আসনে ভোটপর্ব এখনও পর্যন্ত আপাত শান্তিপূর্ণ। এ রাজ্যে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটলেও মোটের উপর চলছে অবাধ ভোট।
প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচনে শতকরা হিসেবে ভোটদানের নিরিখে দেশের মধ্যে এগিয়ে বাংলা। যেখানে
সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছিল উত্তরবঙ্গের তিন আসনে, সেখানে গোটা দেশের হিসেবে মাত্র ৯.৭%। সকাল হলেই বোঝা যায় দিনটি কেমন যাবে। শুরু থেকেই চালিয়ে খেলা বাংলায় সকাল ১১টা পর্যন্ত কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে মোট ৩৩.৫৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। সেখানেই অনেক পিছিয়ে গোটা দেশ। রাজ্যের তুফানি ভোট অব্যাহত শুরুর ৬ ঘণ্টা পরেও। তিন কেন্দ্রে দুপুর একটার মধ্যেই ভোট পড়ে গিয়েছে ৫০ শতাংশের বেশি।
ভোটগ্রহণ চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ওই সময় ভোটের লাইনে থাকা প্রত্যেকের ভোট নেওয়া হবে যত রাতই হোক না কেন! সুতরাং, ভোটদানের ট্রেন্ড বলে দিচ্ছে, ভোট গ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত বাংলার তিন কেন্দ্রে গড়ে ৮৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়বে। যা গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। আবার ভোট বেশি হারে পড়ার অর্থ তা শাসকের বিরুদ্ধে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। লোকসভা ভোট যেহেতু দেশের সরকার নির্বাচনের, তাই উত্তরের তিন কেন্দ্রের ভোটদানের হারে অশনি সংকেত দেখছে দেশের শাসক দল বিজেপি। তাছাড়া ২০১৯-এর ভোট তিনটি কেন্দ্র দখলে ছিল বিজেপির। ফলে সেইদিক থেকে দেখলে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া বইছে।
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, সকাল থেকেই সুষ্ঠভাবে ভোট চলছে। বুথগুলির বাইরে মানুষের লম্বা লাইন। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেওয়ার জন্য বাইরে বেড়িয়েছেন। শশীর দাবি, এই চিত্রই বলে দিচ্ছে ওই তিন আসনে এবার ভালো ফল করতে চলেছে তৃণমূল। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের শরীরীভাষায় হতাশার ছাপ বলে দাবি করেছেন শশী পাঁজা। তাই প্রথম পর্বের ভোটে মোদি মন্ত্রিসভার বাংলা থেকে এক মন্ত্রী হারছেন বলেও মনে করছেন শশী।