আজ, শুক্রবার সকাল থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ। কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা বাদ দিলে এ রাজ্যের তিনটি আসনেও সকাল ৭টা থেকে নির্বিঘ্নে চলছে ভোট গ্রহণ। উৎসবের মেজাজে ভোট হচ্ছে জলপাইগুড়িতে। দক্ষিণবঙ্গে তীব্র দাবদাহ থাকলেও উত্তরের জলপাইগুড়িতে ভোটের দিন মনোরম আবহাওয়া। তাই সকাল থেকেই প্রতিটি বুথের বাইরে ভোটারদের লম্বা লাইন। দুপুর ১টা পর্যন্ত জলপাইগুড়িতে ৫০ শতাংশ ভোট পড়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, মানুষের ভোটদানের আগ্রহ তুঙ্গে।

এদিকে সকাল সকাল পরিবার নিয়ে নিজের বুথে ভোট দেন জলপাইগুড়ির তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। এরপর তিনি বিভিন্ন বুথে বুথে ঘোরেন। জলপাইগুড়িতে বিজেপির একটি বুথ অফিসেও যান তৃণমূল প্রার্থী। তিনি ধূপগুড়ির বিধায়কও বটে। তাঁকে বুথ অফিসে স্বাগত জানান বিজেপি কর্মীরা। এই প্রসঙ্গে নির্মল বলেন, “এটা সৌজন্যের বিষয়। রাজনৈতিক মতফারাক থাকলেও জলপাইগুড়ি বার বার সৌজন্যের রাজনীতি দেখেছে।”

অন্যদিকে, জলপাইগুড়িতে সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শুরু করে গ্রাম এবং চা-বলয়ের বুথের সামনে লম্বা লাইন সাধারণ মানুষের। এখানে ভোট দিলেই থাকছে ভালোমন্দ আহারের ব্যবস্থা। জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭/২০৮ /২০৯ নম্বর বুথের ভোটারদের আহারের সুবন্দোবস্ত করা হয়েছে তৃণমূল সদস্যদের তরফে। জনগণে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেবেন, গণতন্ত্রের অধিকার প্রয়োগ করবেন তাঁরা। আর এটা করতে গিয়ে তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না-হয় সেজন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল সদস্যদের।
কী কী থাকছে এই ভোট-মেনুতে? সকালের জলখাবার হিসেবে থাকছে গরম-গরম লুচি, কাবলিচানা, সঙ্গে পনির দিয়ে সুস্বাদু তরকারি এবং মিষ্টি। ব্যবস্থা রয়েছে লাঞ্চেও। দুপুরের খাবারে থাকছে সাদা ভাত, ডাল, ডিমের কারি, শেষ পাতে চাটনি। এক কথায় বলাই যায়, জলপাইগুড়িতে আজ ভোট-উৎসবের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে পুরোদস্তুর পিকনিকের আমেজ ৷
আরও পড়ুন- চল্লিশ – বিয়াল্লিশ অতীত, ৫০-এর দোরগোড়ায় যেতে চলেছে দক্ষিণের তাপমাত্রা!








































































































































