প্রথমে মুম্বই তারপর কলকাতা, ২৪ ঘণ্টায় দুই পড়ুয়ার আত্মহত্যা!

0
1

নিজেদের পছন্দের মত বাঁচতে চেয়েছিল ওরা, কিন্তু অপছন্দের বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে জীবনে নেমে এলো অবসাদ। চরম সিদ্ধান্ত পড়ুয়াদের। প্রথমে মুম্বই, তারপর কলকাতা। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ডাক্তারি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার আত্মহত্যার (Medical and Engineering Students suicide) খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ২২ বছর বয়সী মেডিকেল ছাত্র পরীক্ষায় কম নাম্বারের জন্য অবসাদে ভুগছিলেন। ক্রমাগত রেজাল্ট খারাপ হচ্ছিল। মেনে নিতে পারেননি লাতুরের বিলাসরাও দেশমুখ কলেজের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অজয় জাঙ্গিদ (Ajay Jangid)। শুক্রবার মুম্বইয়ের কান্দিভালি এলাকায় নিজের বাড়িতেই আত্মহত্যা করেন তিনি। সূত্রের খবর, অজয় ডিপ্রেশনের জন্য মেডিটেশন করতেন। পরিবারের লোকেরা বলছে, কয়েকদিন ধরেই তিনি চরম অবসাদে ভুগছিলেন। এমনকি কম নম্বর পাওয়া নিয়ে তাঁর উদ্বেগের কথা পরিবারকেও জানিয়েছিলেন বলে খবর।ফৌজদারি কার্যবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর রিপোর্ট দায়ের করা হয়েছে।

প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে কলকাতায়। তবে এখানে পছন্দের বিষয়ে না পাওয়ায় মানসিক সমস্যা শুরু হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতার আলিপুরে হোস্টেলের ঘর থেকে এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু বাড়ির চাপে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শুরু করলেও কোনোভাবেই তা মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। পশ্চিম মেদিনীপুরের পড়ুয়া যোধপুর পার্কের উইমেন পলিটেকনিক কলেজের ছাত্রী ছিলেন। আলিপুরের জাজেস কোর্ট রোডে কলেজের হস্টেলেই থাকতেন ওই তরুণী। সন্ধ্যায় তাঁর কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে সহপাঠীরা পুলিশের খবর দিলে, পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করে। মিলেছে সুইসাইড নোট, লেখা – ‘ইঞ্জিনিয়ারিং লাইনে আমার একদম ইচ্ছা নেই। আমি চাপ নিতে পারছি না। আমার যেখানে ইচ্ছা, আমি সেখানে আর এগোতে পারছি না, তাই আমি চললাম’। একদিনের মধ্যে এই দুটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় প্রশ্ন উঠছে, কোটার ছায়া কি ছড়িয়ে পড়ছে গোটা দেশ জুড়ে! চিন্তায় মনোবিদরা।