অগাস্ট মাসের মধ্যে নতুন রূপে দেখা যাবে কালীঘাট মন্দিরকে: পুজো দিয়ে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

0
1

পয়লা বৈশাখে আগে চৈত্রে অবসানের দিন অন্যান্য বছরের মতো এবারও কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনে এখন প্রচারের কাজে ব্যস্ত তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু তাঁর এই প্রতিবছরের রুটিনে এবারও ছেদ পড়ল না। পুজোর পর নিজের আরতিও করেন মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “রাজ্যবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। সকলের সুস্থতা কামনা করছি। সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। নতুন বছর সকলের ভাল কাটুক।” জানালেন কবের মধ্যে নবরূপে দেখা যাবে কালীঘাট মন্দিরকে।

চৈত্রের শেষ দিনে কালীঘাটে পুজো দিতে দেখা যায় মমতাকে। এমনকী লকডাউনের সময়েও এর নড়চড় হয়নি। শনিবার সন্ধে ৭ টা নাগাদ প্রথমে নকুলেশ্বর মন্দিরে পৌঁছে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। নকুলেশ্বর ভৈরব মন্দির পরিদর্শন করে পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী। রীতি মেনে দুধ, বেলপাতা দিয়ে নিবেদন করেন মমতা। রাজ্যবাসীর মঙ্গল কামনায় পুজো দেন তিনি। তার পর যান কালীঘাট মন্দিরে। সেখানেও পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী।

ইতিমধ্যে নতুন রূপে সেজে উঠেছে কালীঘাট মন্দির। তৈরি হচ্ছে স্কাইওয়াক। সোনার পাতে মুড়ছে কালীঘাট মন্দিরের তিনটি চূড়া। বিগ্রহের গর্ভগৃহ, ভোগঘর, নাটমন্দির, শিবমন্দির, পূণ্যপুকুর থেকে শুরু করে মন্দিরের চাতাল, ভিতর এবং বাইরের প্রাচীর সহ গোটা মন্দিরের সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে জোরকদমে। দক্ষিণেশ্বরের আদলে কালীঘাটে তৈরি হচ্ছে স্কাইওয়াক।

পুজো দিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান তিনি। সকলের সুস্থতা কামনা করেন তিনি। সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি চাই সকল ধর্মের মানুষ, শান্তিতে ও সম্প্রীতির মধ্যে দিয়ে সব দিনগুলি কাটাক।” এরপরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, নতুন করে সংস্কার হচ্ছে কালীঘাটের মন্দির। হচ্ছে দক্ষিণেশ্বরের মতো স্কাইওয়াক। কিন্তু সেই কাজ এখনও শেষ হয়নি বলে। এখনই নতুন আঙ্গিক সামনে আনা হচ্ছে না। মন্দিরের সংস্কারের শেষ পর্যায়ে হওয়া সত্ত্বেও নতুন মন্দির সূচনা করা হয়নি। অগাস্ট মাসের মধ্যে নতুন রূপে দেখা যাবে কালীঘাট মন্দিরকে- জানান মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন- ছ’বলে ছয় ছক্কা মেরে নজির গড়লেন নেপালের এই ক্রিকেটার , টপকে গেলেন যুবরাজকে

মনে করিয়ে দেন, রাজ্যবাসীর কথা মাথায় রেখে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি করে দিচ্ছেন। এর পরই মন্দির ছাড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।