বিরোধীদের চাপে কাশ্মীরকে ‘রাজ্যের স্বীকৃতি’! মোদির ঘোষণায় কটাক্ষ ওমরের

0
3

পাঁচ বছরে ধরে কাশ্মীরকে রাজ্যের স্বীকৃতি না দিয়ে কাশ্মীরের মানুষকে অসম্মান করেছে কেন্দ্র সরকার। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী জোট এই ইস্যুকে তুলে ধরতেই সুর বদল খোদ নরেন্দ্র মোদির। নির্বাচনে মাত্র দুটি আসনে প্রার্থী দিলেও জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) জনসভা করার খামতি নেই মোদির। শুক্রবার উধমপুরের (Udhampur) সভা থেকে এবার কাশ্মীরকে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদার ইঙ্গিত নরেন্দ্র মোদির।

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী জোট কাশ্মীরে প্রধান ইস্যু তুলেছে কাশ্মীরকে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদার দাবি। ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে লাদাখকে আলাদা করার সময় বিজেপি ঘোষণা করেছিল কাশ্মীর ও লাদাখকে (Ladakh) পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হবে। তবে পাঁচ বছর পেরিয়ে আরেকটি লোকসভা নির্বাচন এসে গেলেও দুই অঙ্গরাজ্যই পূর্ণরাজ্যের স্বীকৃতি পাওয়া থেকে বহুদূরে। কাশ্মীরে এবার কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতায় জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশানাল কনফারেন্স (JKNC)। বিজেপি বিরোধী জোটের জাতীয় দাবির পাশাপাশি পূর্ণরাজ্যের স্বীকৃতির দাবিতেও লড়বে তারা। এর আগে ন্যাশানাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah) ঘোষণা করেছিলেন পূর্ণরাজ্যের স্বীকৃতি না পেলে তিনি বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করবেন না।

শুক্রবারই ন্যাশানাল কনফারেন্সের তরফে ঘোষণা করা হয় বারামুলা কেন্দ্র থেকে লড়বেন ওমর আবদুল্লা। শ্রীনগর কেন্দ্র থেকে আগা রুহুল্লার নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হয়। রাজ্যের পাঁচটি আসনের মধ্যে দুটি কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেছে কংগ্রেসও। জোটের একটি প্রার্থী ঘোষণা করা বাকি যেখানে নির্বাচন ৭ মে। অথচ দুটি জয়ী আসন ছাড়া হেরে যাওয়া তিনটি আসনে এখনও প্রার্থীই দিতে পারেনি বিজেপি। এবার সেই কেন্দ্রে প্রার্থীদের মনোবল বাড়াতে মাঠে নামলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী, দাবি রাজনীতিকদের।

শুক্রবার উধমপুরের সভা থেকে মোদি ঘোষণা করেন, “সেই সময়টা বেশি দূরে নেই যখন জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা হবে। জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের স্বীকৃতিও পাবে। আপনারা নিজেদের বিধায়ক ও মন্ত্রী নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন।” মোদির ঘোষণার পরে ওমরের পাল্টা তোপ, “বিজেপির প্রতিশ্রুতিতে যদি সাধারণ মানুষ আশ্বস্ত হত, তবে তারা কেন এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারছে না।”