লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের সবচেয়ে জ্বলন্ত দুই ইস্যু সন্দেশখালি এবং ভূপতিনগর। বালুরঘাটের সভা থেকে এই দুই ইস্যুতেই রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বালুরঘাটের সভা থেকে শাহ হুঁশিয়ারি দিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভূপতিনগরের অভিযুক্তদের যতই বাঁচানোর চেষ্টা করুন, তাঁদের শাস্তি হবেই। উলটে ঝুলিয়ে সবাইকে সোজা করা হবে।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে বোমা বিস্ফোরণে তিন জনের মৃত্যু হয়। ওই বিস্ফোরণের নেপথ্যে স্থানীয় নেতাদের হাত আছে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে হাই কোর্টের নির্দেশে ওই ঘটনার তদন্তভার পায় এনআইএ। গত সপ্তাহে এনআইএ-র একটি দল ভূপতিনগরে গেলে স্থানীয়রা তাঁদের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। সন্দেশখালির ধাঁচেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল আক্রান্ত হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনাকে হাতিয়ার করে শাহ এদিন প্রশ্ন করেন,যারা বোমা বিস্ফোরণে অভিযুক্ত তাঁদের শাস্তি পাওয়া উচিত কিনা? মমতা দিদি কেন বোমা বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন?
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য,NIA’র বিরুদ্ধে মামলা করে মমতা দিদি বোমা হামলায় অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। বাংলার মানুষকে আর চিন্তা করতে হবে না। হাই কোর্ট এনআইএ-কে ওই হামলার তদন্তভার দিয়ে দিয়েছে। সবাইকে উলটো ঝুলিয়ে সোজা করা হবে। শাহের অভিযোগ, যে বাংলায় এক সময় রবীন্দ্র সঙ্গীতের সুর শোনা যেত, সেই বাংলায় এখন শুধু বোমার আওয়াজ শোনা যায়।
সন্দেশখালি ইস্যুতেও রাজ্যকে বিঁধেছেন শাহ। তাঁর অভিযোগ,সন্দেশখালিতে তৃণমূলের গুন্ডারা মহিলাদের উপর অত্যাচার চালিয়ে গিয়েছেন, আর মমতা দিদি চুপ করে থেকেছেন। কেন? তোষণ করে সামান্য ভোটব্যাঙ্কের জন্য আপনি ধর্ষকদের বাঁচালেন। বাংলার মা বোনেরা কিন্তু সব বোঝে।








































































































































