বরানগর বলছে, সায়ন্তিকা জিতছে! প্রচারে বেরিয়ে রেগে কাঁই বিজেপির সজল

0
1

লোকসভা ভোটের সঙ্গে রাজ্যের দুই আসনে বিধানসভা উপনির্বাচন। তার মধ্যে অন্যতম কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনার বরানগর। তাপস রায় ইস্তফা দেওয়ার পর এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। এবার সেখানে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সায়ন্তিকার মুখোমুখি বিজেপির সজল ঘোষ। নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই নিয়ম করে প্রচারে বেরোচ্ছেন সজল। মূলত অলিগলিতে হ্যান্ড মাইক হাতেই প্রচার করছেন তিনি।

আজ, বুধবারও সকাল সকাল গুটিকয়েক দলীয় সমর্থককে নিয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন সজল। কিন্তু শুরুতেই তাল কাটে। ডানলপে উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী সজল।

ঘটনা ডানলপের একটি চায়ের দোকানে। সেখানে বসে খবরের কাগজ পড়ছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর শান্তনু মজুমদার। সেই সময় সজল হ্যান্ড মাইক নিয়ে প্রচার করছিলেন। চায়ের দোকানের সামনে এসেও প্রচার করতে থাকেন তিনি। তখনই স্থানীয় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শান্তনুর সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন সজল ঘোষ। বরানগর উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয় তৃণমূল কাউন্সিলরের।

চায়ের দোকানে বসে পাল্টা বরানগর উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ই জিতবেন বলে দাবি করেন কাউন্সিলর শান্তনু মজুমদার। তা শুনেই খেপে যান বিজেপি প্রার্থী। দু’জনের মধ্যে বাগ্‍‍বিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়।তবে এটাই প্রথম নয়। গতকাল, মঙ্গলবারও প্রচারে বেরিয়ে বচসায় জড়ালেন বিজেপির প্রার্থী সজল ঘোষ। স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে রীতিমতো কথা কাটাকাটি হয় তাঁর। গতকাল একইভাবে বরানগর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্ত পার্ক প্রচার করছিলেন বিজেপি প্রার্থী।

যে মহিলার সঙ্গে তর্ক জড়িয়ে পড়েন সজব, সেই মহিলা জানান, “আমি ওনাকে একটাই প্রশ্ন করেছিলাম যে, আমি কেন বিজেপিকে ভোট দেব? উত্তর দিতে পারেননি। আর আমি নিজস্ব মতামত থেকে বসেছিলাম, যেকারণে আমি দিদিকে ভোট দেব, এ মাস থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ১ হাজার টাকা ঢুকেছে। কিছু দিন আগে আমার মেয়ে কন্যাশ্রীর টাকা পেয়েছে, সবুজসাথীর সাইকেল পেয়েছে। আমাদের এলাকা যত উন্নয়ন হয়েছে ১৩ বছরে, সবই তৃণমূল কংগ্রেস আসার পরে। আমি প্রশ্ন করেছিলাম, কাকে ভোটটা দেব? সন্দেশখালির ঘটনাও তুলে ধরেছেন। সারা বিশ্বের মানুষ জানে, ওটা সাজানো ঘটনা ছিল। তখনই উনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন।”