ভোট বাজারে আদর্শ বিচ্যুত সিপিএম এবার আস্তিক! প্রচার কার্ডে ভগবান কৃষ্ণের ছবি!

0
1

রামমন্দিরের পর শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি দ্বারকা কিংবা ঠাকুর-দেবতাকে রাজনীতির আঙিনায় নামিয়েছে বিজেপি। ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি বিজেপির ঘোষিত এজেন্ডা! যা নিয়ে তথাকথিত সেক্যুলার দলগুলির মতো সিপিএম সরব হয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে। সিপিএম শুধু ধর্ম নিরপেক্ষ নয়, নিজেদের নাস্তিক বলেও দাবি করে তারা। এবার লোকসভা ভোটের বাজারে আদর্শ চ্যুত সেই সিপিএম।

ভোট বড় বালাই, এবার খোদ শহর কলকাতায় সিপিএমের প্রচারপত্রে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ! তবে কী ভোটের আগে আস্তিকতার আশ্রয়ে ঠাঁই নিতে চাইছে মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি? একটা সময় তারাপীঠ মন্দিরে গিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন তৎকালীন সিপিএমের দাপুটে জননেতা সুভাষ চক্রবর্তী। তাঁর দল নাস্তিক সিপিএম তখন রে রে করে উঠেছিল। সুভাষবাবু প্রয়াত। কালের নিয়মে সিপিএমও পরিবর্তিত। তা বলে প্রচারে এতটা পরিবর্তন যে, একেবারে কৃষ্ণের শরণে? প্রশ্ন তুলছেন শহুরে ভোটাররাও!

ঘটনা ঠিক কী? দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম তাঁর প্রচারে বাংলা নববর্ষ ও ঈদকে সামনে রেখে তৈরি করেছেন প্রচার কার্ড। তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে সম্প্রীতির বার্তাও। কার্ডের এক পিঠে কৃষ্ণ সেজেছে এক খুদে। তার পাশে ফেজ টুপি পরা আর এক খুদে ধরেছে কৃষ্ণের হাত। এই ছবি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

সিপিএমের কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কমিটির কনভেনর ও দলের রাজ্য কমিটির সদস্য সুদীপ সেনগুপ্ত বলেন, “দুটি সম্প্রদায়কে দেখানো হয়েছে। দু’জনেই বন্ধু। এ ছবির মাধ্যমে আমরা বোঝাতে চেয়েছি এটাই আমাদের ভারতবর্ষ। যে যার নিজের ধর্ম পালন করুক।’ তারপর তাঁর সংযোজন, আমাদের ধর্মবিরোধী হিসেবে প্রচার করা হয়। কিন্তু আমরা মনে করি, ধর্ম যে যার মতো পালন করুক। রাষ্ট্র যেন সেখানে হস্তক্ষেপ না করে। সেই বার্তাই দেওয়া হয়েছে।”