শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ‘নির্লজ্জ হামলা’ শাহের পুলিশের, দিল্লিতে ফের হেনস্থার শিকার তৃণমূল

0
1

নির্বাচন সদনের (Nirvachan Sadan) বাইরে শান্তিপূর্ণ ধর্নায় বসে থাকা তৃণমূলের সাংসদ, নেতৃত্বকে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলার নজির রাখল অমিত শাহের দিল্লি পুলিশ। কেন্দ্রের স্বৈরাচারী সরকার ফের প্রমাণ করল প্রতিবাদের আওয়াজ উঠলেই রাষ্ট্রযন্ত্র দিয়ে তা দমন করা হবে। এর আগেও কেন্দ্রের থেকে প্রাপ্য টাকা আদায়ের দাবিতে তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যখন দিল্লিতে রাজ্যের দাবি পেশ করতে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব, তখনও একই ভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পুলিশের হাতে হেনস্তা হতে হয়েছিল। সোমবারও একই ঘটনার পুণরাবৃত্তি রাজধানীর বুকে। পাঁচ সাংসদ, চার প্রাক্তন সাংসদ সহ দশ নেতৃত্বকে বিনা প্ররোচনায় গ্রেফতার করা হল।

রাজ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন বিজেপি নেতাদের প্ররোচনায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির অতি সক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে সোমবার নির্বাচন সদনে যান তৃণমূলের দশ সদস্যের প্রতিনিধিদল। তৃণমূলের পক্ষ থেকে সমান মাঠে খেলার সুযোগের দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে জলপাইগুড়িতে টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে বাড়ি তৈরিতে রাজ্য় প্রশাসনের উদ্যোগে সম্মতির জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। কমিশনের থেকে সদুত্তরের দাবিতে নির্বাচন সদনের বাইরে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসেন তৃণমূলের পাঁচ সাংসদ সহ প্রতিনিধিরা।

আচমকাই সেখানে দিল্লি পুলিশ এসে তৃণমূলের প্রতিবাদের পথ বন্ধ করার চেষ্টা করে। জোর করে সাংসদ ও তৃণমল নেতৃত্বদের পাঁজাকোলা করে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। পায়ে আঘাত লাগা সাংসদ দোলা সেনকেও রেয়াত করেনি অমিত শাহের পুলিশ। এরপর প্রিজন ভ্যানে অপহরণ করা হয় তৃণমূল নেতৃত্বদের। প্রথমে বলা হয় তাঁদের মন্দির মার্গ থানায় নিয়ে যাওয়া হবে। পরে সেই প্রিজন ভ্যান অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।

সাংসদরা প্রতিবাদ করলে ফের ঘুরপথে মন্দির মার্গ থানায় তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। তবে নির্বাচন কমিশনের কাছে বাংলার মানুষের জন্য দাবি আদায় করতে গিয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখানোর কারণে কেন তাঁদের গ্রেফতার করা হল, তার প্রতিবাদে থানাতেই অবস্থান বিক্ষোভে বসেন তৃণমূল সাংসদ ও নেতারা।