রবিবার রাজ্যে প্রচারে এসে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারে হুমকি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সোমবার, বাঁকুড়ার দলীয় প্রার্থীর সমর্থনের সভা থেকে পাল্টা মোদিকে ধুয়ে দিলেন তৃণমূল সভানেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দেশের গণতন্ত্রকে জেলে পাঠিয়ে দিয়েছেন: মোদিকে তীব্র আক্রমণ মমতারতীব্র কটাক্ষ করেন মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, এজেন্সি দিয়ে সারা দেশটাকেই তো জেল বানিয়ে রেখেছেন!
পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন। দিল্লি থেকে বিজেপি নেতাদের ডেইলি প্যাসেঞ্জারি শুরু হয়ে গিয়েছে। রবিবারই, জলপাইগুড়িতে সভা করতে এসে গরমগরম ভাষণ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন বাঁকুড়ার সভা থেকে মোদিকে ধুয়ে দিলেন মমতা। বলেন, “আপনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সম্মান করে বলছি। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, দীর্ঘজীবী হোন। কিন্তু একজন প্রধানমন্ত্রীর মুখে কি এ কথা মানায়? বলছেন ৪ জুন ভোট হয়ে গেলে বেছে বেছে গ্রেফতার করবেন, জেলে পাঠাবেন। আরে এজেন্সি দিয়ে গোটা দেশটাকেই তো জেল বানিয়ে ফেলেছেন৷ গণতন্ত্রকে জেলে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আপনার এক পকেটে এনআইএ, এক পকেটে সিবিআই। এক পকেটে ইডি, অন্য পকেটে ইনকাম ট্যাক্স। ইডি, ইনকাম ট্যাক্স বিজেপির ফান্ড কালেকশন বক্স।“ এরপরই হুঙ্কার দিয়ে মমতা বলেন, “আপনি কাকে ধমক দিচ্ছেন, আমরা ভয় পাই না। আমাদের পাঁচ জন ছেলেকে গ্রেফতার করবেন, তাঁদের স্ত্রীরা রাস্তায় নামবেন৷ আপনি হেমন্তকে গ্রেফতার কেন করালেন? দেশের একমাত্র আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন৷ অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করলেন৷ তাতেও কিছু হবে না, ওরা আরও বেশি ভোটে জিতবে৷” মমতার কথাও, “আপনার হুঙ্কার আপনার দলকে অক্সিজেন দেওয়ার জন্য দিন। কিন্তু মনে রাখবেন গণতন্ত্রের জন্য ওটা কার্বন ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন। আমিও তো বলতে পারি, সরকার তো আমাদের এখানেও থাকবে, তাহলে আপনার দলের সবাইকে আমি জেলে পাঠাবো৷ আমি কি এ কথা বলেছি? কারণ আমি অনেক খুন দেখেছি, অনেক অত্যাচার দেখেছি।“
জলপাইগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বিপর্যস্ত। দুর্গতদের পাশে দাঁড়িতে সেই রাতেই পৌঁছে যান মমতা। কিন্তু তার পরে রাজ্যে ভোট প্রচারে এসেও কোনও মন্তব্য করেননি মোদি। এই নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো-সহ দলীয় নেতৃত্ব নিন্দা করার পরে রবিবার জলপাইগুড়ি এসে সেই বিষয়ে শুধু শুকনো দুঃখপ্রকাশ করেই দায় সেরেছেন তিনি। এই নিয়েও এদিন সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “আপনি ব্লকে ব্লকে প্রচার করুন। আমার আপত্তি নেই। এটা আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু আপনি জলপাইগুড়ির সভা থেকে ওখানকার মানুষদের জন্য কি কোনও সাহায্যের কথা ঘোষণা করলেন?” মমতা অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশনের অনুমতি না মেলেও রাজ্য প্রশাসন বাড়ির ব্যবস্থা করতে পারছে না।