আইনি চিঠি দিলে আমরাও ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করব, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ কুণালের

0
1

ফের কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করা নিয়ে সরব তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, এনআইএ-র এসপির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেতা। এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, জিতেন্দ্র তিওয়ারি একটা লিখিত কিছু দিন। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি তার লিগ্যাল নোটিশের জন্য। এনআইএ প্রেস রিলিজ দিয়ে জানাবেন যে এসপির কাছে বিজেপি নেতা যাননি। আমরা অপেক্ষা করে আছি। তার আরও আভিযোগ, বিজেপির সংগঠন নেই। তাই এজেন্সি ব্যবহার করছে। এমপি থেকে বুথ স্তরের সংগঠকদের সরাতে চাইছে। ওরা ফাঁকা মাঠে একা একা খেলতে চাইছে। ২০২১ সালের মামলায় তাই আবার সিবিআই ডেকে পাঠিয়েছে ৩০ জনকে। তাই এলাকা ফাঁকা করতে, এই সব করাচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুর শুধু নয়, আমাদের কাছে খবর আছে, আরও একাধিক জেলায় গ্রেফতারের পরিকল্পনা করা হয়েছে একাধিক নেতাকে।

কুণাল আরও বলেন, ভূপতিনগর গ্রেফতারি হল চক্রান্ত। আগে এনআইএ এসপিকে গ্রেফতার কেন করা হচ্ছে না? নাড়ুয়াভিলা গ্রামে আমি গেয়েছিলাম। গ্রেফতারির সময় তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কুৎসিত ব্যবহার করা হয়েছে। তাঁর বাবাকে মেরেছে। তাঁর ছোট ছেলেকে নিয়ে গিয়েছে বাবার সঙ্গে। তাই মা বোনেরা প্রতিবাদ করছেন।তার সাফ কথা, স্পষ্ট ভিডিও ফুটেজ আছে। এনআইএ দলদাসের কাজ করেছে। এসপি-র বাড়িতে বিজেপি নেতা গিয়েছে। বাড়ি গিয়ে ধরপাকড়ের পরিকল্পনা করেছে। এনআইএ ডিজিকে বলতে চাই, ধনরাম সিংকে সরিয়ে দিন। তাঁকে বাংলার তদন্তের সব পদ থেকে সরান। আমরা সব নথি দেখিয়েছি। আইনি চিঠি দিলে আমরাও ভিডিও ফুটেজ বার করে দেব।
তার সাফ কথা, বিজেপি নেতারা গিয়ে এনআইয়ের সিপির হাতে লিস্ট দিয়ে আসছে কাদের গ্রেফতার করতে হবে। তারপর এনআইএ যাচ্ছে। কেন এর তদন্ত হবে না? প্রশ্ন কুণালের। ধনরাম সিং এর বাড়িতে জিতেন্দ্র তিওয়ারির যাওয়া নিয়ে তৃণমূলের যে নথি সেটা ভুল প্রমাণ করুক। এনআইএ-র চক্রান্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিজেপির কথায় ভোটের আগে তৃণমূলের সংগঠকদের জেলে ভরার চক্রান্ত, গ্রেফতারির চক্রান্ত। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সেই চক্রান্ত করছে এনআইএ।

এরই পাশাপাশি, বিজেপির দিলীপ ঘোষের মন্তব্য প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, নিয়োগ মামলার কিং পিন প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষের বাড়ির দলিল পাওয়া গিয়েছে। তাহলে কেন তাকে গ্রেফতার করা হয়নি? দিলীপ ঘোষ বাঘছাল পরা বেড়াল। উনি জানেন বিজেপিতে আছেন, তাই ইডি-সিবিআই গায়ে হাত দেবে না। তাই সকাল বেলা ঘুরতে বেরিয়ে বড় বড় কথা বলেন। ভূপতিনগরে যে গরীব মানুষের উপর অত্যাচার হল, গ্রেফতারি হল। তাহলে সিবিআইয়ের এফআইআরে যার নামে আছে সেই শুভেন্দু অধিকারী কেন গ্রেফতার হচ্ছে না? ফের প্রশ্ন কুণালের।