আসন্ন লোকসভা ভোটে তাঁর প্রার্থীপদ নিয়ে অনেক দিন ধরেই জল্পনা চলছিল। শেষ পর্যন্ত বর্ষীয়ান, অভিজ্ঞ সাংসদের ওপর আস্থা রেখেছেন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আস্থাকে সম্মান জানিয়ে প্রচন্ড দাবদাহের মধ্যেও ভোট প্রচারে এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত দৌড়ে বেড়াচ্ছেন ৭৬ বছরের বর্ষীয়ান সাংসদ।তার প্রতিপক্ষ নিয়ে একটুও বিচলিত নন সাংসদ। তার সাফ কথা, সিপিএম এমনিতেই শূন্য, আর বিজেপি প্রার্থী এর আগেও গোহারা হেরেছেন। ওরা লড়াইয়ের ময়দানে নেই।বাউন্ডারির বাইরে।
রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার বাগুইআটিতে একটি কর্মীসভায় সৌগত বলেন, আমার সাংসদ পদে ১৫ বছর সম্পূর্ণ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দুদিন আগেই বলেছেন, ভোট দেওয়ার আগে তার মুখটা মনে করবেন। আসলে মমতার উন্নয়নে এ রাজ্যের মানুষ আপ্লুত। একটা মানুষের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই সরকারের কোনও না কোনও প্রকল্প সাহায্য করছে। এই সুযোগ গুলো বাঁচিয়ে রাখতে তৃণমূলকে জয়ী করতে হবে।
বর্ষীয়ান সাংসদ স্মরণ করিয়ে দেন, তৃণমূলকে না জেতালে লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথীর মতো সব প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে। তাই নিজেদের অধিকার রক্ষায় তৃণমূলকে জয়ী করতে হবে। বর্ষীয়ান সাংসদ বললেন, জনসাধারণের সঙ্গে নীচুতলার কর্মীদের কোনও বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আমি মনে করি, তৃণমূলের নীচু তলার কর্মীরা মানুষের সঙ্গে ভালই যোগাযোগ রাখেন। তবে তাঁদের কাজের পর্যালোচনা করার জন্য এখনও দুমাস সময় হাতে আছে। মানুষের কাছে গিয়ে, উন্নয়নের কথা বলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিধায়ক, সাংসদদের তো এলাকায় যোগাযোগ আছেই। কিন্তু তাঁর কাজের কীরকম প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, তা দেখার জন্য অন্য এলাকা থেকে বিধায়করা গিয়ে কর্মী ও সাধারণ মানুষদের সঙ্গে মিলে তার পর্যালোচনা করছেন। দলের সর্বস্তর মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ কর্মী এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আছেন।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.