ভূপতিনগরে মধ্যরাতে এনআইএ হানা, মহিলাদের শ্লীলতাহানি, কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার করে বিজেপি-র (BJP) ষড়যন্ত্র- এই সব ইস্যুতে রবিবার পুরুলিয়ার সভা থেকে গর্জে উঠলেন তৃণমূল (TMC) সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিস্ফোরক অভিযোগ করে মমতা বলেন, পুরুলিয়ার হোটেলে খোঁজ নিচ্ছে NIA।
শনিবার, উত্তরবঙ্গের সভার পরে রবিবার পুরুলিয়ার দলীয় প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতর সমর্থনে প্রচার সভা থেকে গর্জে উঠলেন তৃণমূল সভানেত্রী। ভূপতিনগরের প্রসঙ্গ তুলে এদিন ফের নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে তুলোধনা করেন মমতা (Mamata Banerjee)। তাঁর অভিযোগ কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গে মিলে তৃণমূলকে কোণাঠাসা করতে ষড়যন্ত্র করছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূল (TMC) সভানেত্রী বলেন, “মানুষ প্রতিবাদ করলেই ঘরে এনআইএ ঢুকিয়ে দিচ্ছে। মধ্যরাতে মহিলা ঘরে ঘুমাচ্ছেন। এনআইএ ঢুকিয়ে দিচ্ছে। গদ্দারের এলাকায় মধ্যরাতে পুলিশকে না জানিয়ে চলে গেল। আগে পুলিশের উর্দি পরে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে অনেকেই বদমায়েশি করেছে। মেয়েরা কী করে বুঝবেন? মা-বোনেরা প্রতিবাদ করলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ডায়েরি করা হল। বলছে তৃণমূলের সব বুথ এজেন্টদের গ্রেফতার করো।“ বুথে বসার জন্য নামের ৩ সেট তালিকা তৈরি রাখার নির্দেশ দেন তৃণমূল সভানেত্রী। তাঁর নির্দেশ, বুথে তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা বসুন।
রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে মমতা বলেন, “আবার রামনবমী আসছে। চকোলেট বোমা ফেললেও এনআইএকে ঢুকিয়ে দেবে।“ বিস্ফোরক অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পুরুলিয়ায় সব হোটেলে গিয়ে NIA খোঁজ নিচ্ছে, কে থাকছে। তোমার কী? তোমার কী কাজ? কোন হোটেলে কোন পার্টির লোক থাকবে? নির্বাচনের সময় আমরা সরকারি জায়গায় থাকি না। যে হেলিকপ্টার নিয়ে কর্মাসূচিতে যাই, সেটাও দলের টাকায় ভাড়া করি।“
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হন মমতা। বলেন, “রাস্তায় আসতে আসতে দেখলাম আমার ছবি মুছে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ছবি কেন মোছা হয়নি? তাঁর নামে বন্ধু-কেন্দ্র। এটা প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল? আমি আঙুল দিয়ে দেখালাম।“
এনআইএকে নিশানা করে মমতা বলেন, “এক দিকে এনআইএ, এক দিকে সিবিআই, বিজেপির ভাই ভাই। ইডি আর ইনকাম ট্যাক্স। বিজেপির টাকা তোলার বক্স। আমাদের আছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। ওঁদের আছে ইডির ভাণ্ডার। আমাদের আছে কৃষির ভাণ্ডার। ওদের রয়েছে সিবিআই ভাণ্ডার। বলছে বিজেপি করো। কেন বিজেপি করবে? অত্যাচারী সরকার।“