সময় যত গড়াচ্ছে শিক্ষাঙ্গনে র্যাগিংয়ের (Ragging) মাত্রা বেড়েই চলেছে। লাগাতার চেষ্টা করলেও এই সমস্যার হাত থেকে মিলছে না মুক্তি। এবার কেরলে (Kerala) র্যাগিংয়ের বলি এক পড়ুয়া। অভিযোগ, টানা ২৯ ঘণ্টা র্যাগিংয়ের কারণে মৃত্যু হল এক ডাক্তারি পড়ুয়ার (Medical Student)। রাহুল গান্ধীর লোকসভা কেন্দ্র ওয়েনাড়ের (Wayanad) মেডিক্যাল কলেজ লাগোয়া হস্টেলে থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই পড়ুয়ার দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত সিদ্ধার্থন জে এস পশু চিকিৎসা নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হস্টেলের বাথরুম থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, নৃশংস র্যাগিংয়ের জেরেই মৃত্যু হয়েছে ছেলের। ঘটনায় বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং অন্য সহপাঠীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের পরিবারের। ইতিমধ্যে ছাত্রের ‘রহস্য মৃত্যু’র তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তদন্তভার হাতে নিয়ে প্রাথমিকভাবে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সিবিআই (CBI)।
ফেব্রুয়ারির থেকে এই মামলার তদন্ত চালাচ্ছিল কেরল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, কলেজে সিনিয়র এবং সহপাঠীরা একটানা ২৯ ঘণ্টা অত্যাচার চালায় সিদ্ধার্থানের উপর। এরপরই চরম মানসিক যন্ত্রণায় হস্টেলের ঘরে ঢুকে আত্মহত্যা করেন তিনি। এরপরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করে পুলিশ। রবিবার সেই ফাইল সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে বিজয়ন পুলিশ। সাব-ইন্সপেক্টর প্রশভ পি ভি বলেন, শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালানো হয়েছে পড়ুয়ার উপরে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত ২টো অবধি সিদ্ধার্থনের উপর চলে পাশবিক অত্যাচার। তবে শুধু অত্যাচার বললে ভুল হবে, হাত ও বেল্ট দিয়ে মারধর করা হয় পড়ুয়াকে। এর ঠিক ৪৮ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে বারোটা থেকে ১টা ৪৫-এর মধ্যে হস্টেলের বাথরুমে গলায় ফাঁস আত্মহত্যা করেন পড়ুয়া।


তবে র্যাগিংয়ের জেরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এসএফআইইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় বড়সড় অস্বস্তিতে কেরলের বাম সরকার। এরপরই বিরোধীদের চাপে পড়ে সিবিআই তদন্তের ন্রদেশ দেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।









































































































































