লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) মুখে নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond) সংক্রান্ত তথ্য সামনে আসতেই একেবারে ল্যাজেগোবরে অবস্থা বিজেপির (BJP)। সম্প্রতি, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) নির্দেশে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI)। আর সেই তথ্য সামনে আসতেই শুরু হয়ে গিয়েছে হইচই। যেখানে দেখা যাচ্ছে নির্বাচনী বন্ডে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে গেরুয়া শিবির। এবার কোন কর্পোরেট সংস্থা (Corporate Agency) কোন রাজনৈতিক দলকে কত টাকার বন্ড দিয়েছে, তা সামনে এসেছে। সেই তালিকা বিশ্লেষণ করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের দাবি, কমপক্ষে এমন ৪৫টি কর্পোরেট সংস্থার বার্ষিক হিসাবনিকাশ সামনে এসেছে যেখানে সংস্থাগুলির বার্ষিক হিসাব এবং তাদের নির্বাচনী বন্ড কেনার মধ্যে কোনও সামঞ্জস্য নেই বলে অভিযোগ। এই ৪৫ সংস্থাকে ইতিমধ্যে A,B,C এবং ডি এই চারভাগে ভাগ করা হয়েছে।
সেই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, এ ক্যাটেগরিতে এমন লোকসানে ৩৩টি সংস্থার নাম উঠে এসেছে যারা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিকে ৫৭৬.২ কোটি টাকা দিয়েছে। যার ৭৫ শতাংশ, অর্থাৎ ৪৩৪.২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি। ওই সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, এই সংস্থাগুলি ২০১৬-১৭ থেকে ২০২২-২৩ পর্যন্ত মোট সাত বছরে কর সংক্রান্ত হিসাবে বিস্তর গরমিল করেছে। এই ৩৩টি কোম্পানির মোট লোকসান ছিল ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি।

বি ক্যাটেগরিতে রাখা হয়েছে ৬টি সংস্থাকে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ছয়টি সংস্থাই মোট ৬৪৬ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছে। যার ৯৩ শতাংশ অর্থাৎ ৬০১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বিজেপি। সংস্থাগুলির অভিযোগ, ২০১৬-১৭ থেকে ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে তাদের মুনাফা হলেও নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিকে দেওয়া চাঁদার কারণে সেই লাভের অঙ্ককে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছে। পাশাপাশি সি ক্যাটেগরিতে রয়েছে তিনটি সংস্থা। যারা মোট ১৯৩.৮ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছে, যার ১৫ শতাংশ বা ২৮.৩ কোটি টাকা বিজেপি ভাঙিয়েছে বলে দাবি সংবাদমাধ্যমের। এছাড়াও ডি ক্যাটাগরিতে, তিনটি সংস্থা মোট ১৯.৪ কোটি টাকার বন্ড কিনেছে। যার মধ্যে ৪.৯ কোটি টাকা (৩০ শতাংশ) পেয়েছে বিজেপি, বাকিটা কংগ্রেস, অকালি দল এবং জেডিইউ পেয়েছে।










































































































































