কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) ব্যবহার করে এবার ভারতের নির্বাচনেও (Indian Election) কলকাঠি নাড়তে উঠেপড়ে লাগল চিন (China)। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। ভাবছেন কীভাবে সুদূর চিন থেকে বসে কীভাবে এমন কাজ করা সম্ভব! কিন্তু বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করেই ভারতের নির্বাচনে বড়সড় কিছু ধামাকার অপেক্ষায় ড্রাগনের দেশ। সম্প্রতি মাইক্রোসফটের (Microsoft) এক রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি সামনে আসছে। আর যা সামনে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। মাইক্রোসফট জানিয়েছে, শুধুমাত্র ভারত নয়, দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকার নির্বাচনেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করেই প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে চিন।
কিন্তু ভারতের নির্বাচনে কীভাবে প্রভাব খাটাবে চিন? মাইক্রোসফটও সেই জবাব স্পষ্ট করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনগুলিতে প্রভাব খাটানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় এআই ব্যবহার করতে চাইছে চিন। মূলত, সোশাল মিডিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে নিজেদের ফায়দার জন্য ভোটের গতিপ্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে জিনপিংয়ের দেশ। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ভারত বা আমেরিকার মত দেশের নির্বাচন প্রভাবিত করা বেশ কঠিন। কিন্তু চিন যে তাদের অবস্থান থেকে একচুলও সরবে না তাও এদিন মাইক্রোসফটের রিপোর্টে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এভাবেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা বেজিংয়ের। তবে বর্তমানে আর তাইওয়ানে সীমাবদ্ধ থাকতে চাইছে না চিন। আর সেকারণেই নয়া প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে ভারত ও আমেরিকার মতো দেশের ভোটকে প্রভাবিত করতে বড় চাল চিনের। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনের মূল উদ্দেশ্য প্রতিবেশী দেশ ভারতের নির্বাচনের ফলাফলকে এমনভাবে প্রভাবিত করা হবে জাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিজেদের দেশের অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করা। তবে ভারতের উপর চিনের সাইবার হানার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে এর আগেও বারবার তা প্রতিহত করেছে ভারত। তবে লোকসভা নির্বাচনের মুখে আচমকা চিনের এই হানাদারি রুখতে বদ্ধপরিকর ভারত।










































































































































