সিএএ-এনআরসি বাতিল, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার বার্তা, রাজ্যপালের অনধিকার চর্চা, এই সবগুলোই রয়েছে সিপিএমের ইস্তেহারে। যেন তৃণমূলের দাবি প্রকাশ পেয়েছে সিপিএমের ইস্তেহারে।তৃণমূল যে সময়োপযোগী দাবি করছে, যার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে লড়াই করছে, তা যে সঠিক, সিপিএমের ইস্তেহার তা প্রমাণ করে দিল।
নির্বাচনী ইস্তেহারে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তৃণমূলের সুরই ধরা পড়েছে সিপিএম-এর গলায়। কেন্দ্রে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল জানিয়েছে, রাজ্যে CAA কার্যকর হতে দেবে না তারা। নির্বাচনী ইস্তেহারে CAA নিয়ে একই অবস্থান জানাল সিপিএম। কেন্দ্রে সরকার বদলালে CAA বাতিল করা হবে বলেও জানিয়েছে তারা। এমনকি রাজ্যপাল নিয়োগের প্রক্রিয়া থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়েও বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সিপিএম । তাদের এই ঘোষণা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছে সিপিএম। কী আছে সেই ইস্তেহারে? সিপিএম জানিয়েছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এবং তার সহযোগীদের পরাজিত করতে হবে ভোটারদের। সিপিএম এবং বাম দলগুলির হাত শক্ত করে কেন্দ্রে বিকল্প নিরপেক্ষ সরকারকে ক্ষমতায় তুলে আনতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল সাফ জানিয়েছে, রাজ্যে CAA কার্যকর হতে দেবে না । এবার নির্বাচনী ইস্তেহারে CAA নিয়ে একই অবস্থান জানাল সিপিএম। কেন্দ্রে সরকার বদলালে CAA বাতিল করা হবে বলেও জানিয়েছে তারা। এমনকি রাজ্যপাল নিয়োগের প্রক্রিয়া থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়েও বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সিপিএম । তাদের এই ঘোষণা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
নির্বাচনী ইস্তেহারে CPM বলেছে, কেন্দ্রে ধর্ম নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবরকম চেষ্টা করবে CPM, তার জন্য সংসদে দলের উপস্থিতি বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।
ধর্মকে রাজনীতি, রাষ্ট্র, সরকার এবং প্রশাসনের থেকে রাখতে লড়াই চালাবে তারা। ঘৃণাভাষণ এবং অপরাধের বিরুদ্ধে কড়া আইন আনা হবে। CAA বাতিল করতে বদ্ধপরিকর সিপিএম ।
আরও পড়ুন- ‘উন্নয়ন ও তৃণমূল একে অপরের পরিপূরক’, উত্তরবঙ্গের সভা থেকে খতিয়ান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
তারা জানিয়েছে , ১০০ দিনের কাজে যে বরাদ্দ রয়েছে, তা দ্বিগুণ বাড়ানো হবে। শহরাঞ্চলের মানুষদের কর্মসংস্থানে নতুন আইন আনা হবে, বেকারত্ব ভাতার ব্যবস্থাও থাকবে আগামী দিনে।
শিক্ষার অধিকারকে আরও মজবুত করে তুলতে হবে। বন্ধ হবে উচ্চশিক্ষার বেসরকারিকরণ।
শিক্ষাখাতের বরাদ্দ বাড়িয়ে দেশের GDP-র ৬ শতাংশ করা হবে।
মোদি সরকার রাজ্যগুলির সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করেছে, তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। কেন্দ্র যে কর আদায় করে, তার ৫০ শতাংশ বরাদ্দ হবে রাজ্যগুলির জন্য। সারচার্জ এবং সেসের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সুপারিশ মেনে তিন বিশিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে থেকে একজনকে রাজ্যপাল নিযুক্ত করা হবে আগামী দিনে।
বেসরকারিক্ষেত্রেও সংরক্ষণের পক্ষে সিপিএম ।আদিবাসীদের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর দল। তপশিলিদের নিয়ে সঠিক পরিসংখ্যান পেতে দেশে জাতিভিত্তিক গণনার প্রয়োজন রয়েছে। মহিলাদের এক তৃতীয়াংশ সংরক্ষণ দেওয়ার পক্ষে সিপিএম ।
যাবতীয় মধ্যযুগীয় আইন, বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধী আইন (UAPA), আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন বাতিল করা হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির স্বতন্ত্রতা ধরে রাখতে সচেষ্ট হবে।
ভারতের অর্থনৈতিক সার্বভৌমিকতা রক্ষার্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সিপিএম ।সরকারি সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত সংশোধন করা হবে। সার্বিক সম্পত্তি কর এবং উত্তরাধিকার করকে আইনের আওতায় আনা হবে। শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার্থে শ্রম আইনে সেই মতো আইন সংযুক্ত করার পাশাপাশি কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ মেনে। কর্মের অধিকারকে সাংবিধানিক অধিকারের আওতায় আনা হবে। দ্রুত সরকারি এবং রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থাগুলিতে পূরণ করা হবে শূন্যপদ। ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্পের বিস্তার ঘটানো হবে কর্মসংস্থানে।
নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অর্থশক্তির আস্ফালনের বিরুদ্ধে সিপিএম ।রাজনৈতিক দলগুলিকে কর্পোরেট সংস্থার চাঁদা দেওয়ার রীতিতে ইতি টানা হবে। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে কর্পোরেট সংস্থাগুলির অবশ্যই অনুদান দেওয়া উচিত। তবে এই জাতীয় অনুদান নির্দিষ্ট নির্বাচনী তহবিলে জমা করতে হবে।
জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য সংরক্ষিত অনুচ্ছেদ ৩৭০ ফেরাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সিপিএম । রাজ্যের মর্যাদা ফিরিতে দেওয়া হবে উপত্যকাকে।
নিজেদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে পড়শি দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষপাতী সিপিএম ।