বুধবার সাংসদ পদের মেয়াদ শেষ হল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের। ভারতের রাজনীতির একটি অধ্যায়ের অবসানে স্মৃতিমেদুর গোটা দেশের রাজনৈতিক মহল। দেশের সাংসদ হিসাবে ৩৩ বছর তিনি যে সময়টা কাটিয়েছেন তার মধ্যে তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের দশ বছর আজও তাবড় প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে তুলনায় চলে আসে। স্বাভাবিকভাবে ৩ এপ্রিল তাঁর সঙ্গে অবসর নেওয়া আরও চারজনের অবসর নিয়ে যেখানে তেমন কোনও আলোচনাই নেই, সেখানে তিনি ঘুরে ফিরে এসেছেন আলোচনায়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। এবার রাজ্যসভার আসনেও তাঁকে প্রার্থী করেনি কংগ্রেস।

কংগ্রেসের পক্ষ থেকে স্বাভাবিকভাবেই মনমোহন সিংয়ের এই দীর্ঘ সময় ধরে দেশের জন্য ত্যাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে তাঁর কাছ থেকে পাওয়া জ্ঞান ও পরামর্শের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে একজন সাধারণ মানুষের জন্য জিরো ব্যালান্স অ্যাকাউন্ট খোলার পথিকৃৎ হওয়া থেকে একশো দিনের কাজ যেমন তাঁর হাত ধরে শুরু হয়েছে। তেমনই আবার দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিৎ করতে আমেরিকায় সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি সাক্ষরের মাধ্যমেও নতুন পথ খুলে দিয়েছিলেন তিনি। এই সব প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাঁকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

তবে কংগ্রেসের পাশাপাশি মনমোহন সিংয়ের সাংসদ হিসাবে মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁর সঙ্গে রাজনৈতিক জীবন কাটানো অনেকেই তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একজন দক্ষ রাজনীতিক থেকে নাগরিক হিসাবে তাঁর নিজের কর্মের প্রতি অহংকারবোধ নিয়েই অবসর গ্রহণ করা উচিত বলে দাবি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের।
এপ্রিলের শুরুতে রাজ্যসভার ৫৪ জন সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ২ এপ্রিল মেয়াদ শেষ হয় ৪৯ জন সাংসদের। ৩ এপ্রিল যে পাঁচজনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে তার মধ্যে একজন ৯১ বছরের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।









































































































































