দুর্নীতি প্রসঙ্গ তুললেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তোপ দাগলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বললেন, প্রধানমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর মতো দুর্নীতিবাজকে পাশে নিয়ে জনসভা করবেন আবার দুর্নীতি নিয়ে কথা বলবেন, সেটা একসঙ্গে হতে পারে না। শুভেন্দুকে বর্জন করে দুর্নীতি নিয়ে কথা বলুন।
কুণালের কথায়, “প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি নিয়ে কথা বলছেন, এসব শুনলে ঘোড়াতেও হাসবে। তার কারণ, প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার আগে তাঁর মনে রাখা উচিত, যাঁদের বিরুদ্ধে বিজেপি দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল সেই হিমন্ত বিশ্বশর্মা, শুভেন্দু অধিকারী, অজিত পাওয়ার, প্রফুল প্যাটেল, নারায়ণ রানে এমন দীর্ঘ তালিকাভুক্ত নেতাদের। তাঁদের পিছনে এজেন্সি লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তদন্ত শুরু হবে এমন সময় বিজেপিতে চলে আসায় সবাই সাধু পুরুষ হয়ে গেল। ধোঁয়া তুলসী পাতা।”
তাঁর সংযোজন, “তাই যদি হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী আগে ঘোষণা করুন বাংলায় তিনি যতবার জনসভা করবেন, তাঁর পাশে নারদায় অভিযুক্ত, বিজেপি যাকে চোর বলেছিল, সিবিআই এফআইআর-এ নাম থাকা সেই শুভেন্দু অধিকারী থাকবে না। তা না হলে বলতেই হচ্ছে আপনি তো এই দুর্নীতিবাজদের নেতা!”
তৃণমূলের দাবি, আসলে মোদির কোনও সীমা নেই। বাংলার বিজেপি বুথ কর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় তিনি দুর্নীতির কথা বলেন এবং তাঁর পার্টিতে সমস্ত দুর্নীতিবাজদের আশ্রয় দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে ঘোষণা করা উচিত যে তিনি সিবিআই-এর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর জন্য মঞ্চ ভাগ করবেন না…, যদি না করেন তবে দুর্নীতির বিষয়ে তাঁর মুখে একটিও শব্দ মানায় না।
২০১৪ সালে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত ২৫ জন দাপুটে রাজনীতিক দলবদল করে অথবা শিবির বদল করে গেরুয়াধারী হয়েছেন। দলমত নির্বিশেষে ঝাঁকে ঝাঁকে নেতানেত্রী তাঁদের পূর্বেকার দলীয় নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে বিজেপিতে ভিড়েছেন। এঁদের কংগ্রেস থেকে দলবদল করেছেন ১০ জন, শারদ পাওয়ারের এনসিপি এবং শিবসেনা থেকে চারজন করে, তৃণমূল কংগ্রেসের ৩, তেলুগু দেশম পার্টির ২ এবং সমাজবাদী পার্টি এবং ওয়াইএসআরসিপি থেকে একজন করে বিজেপির পতাকা হাতে নিয়েছেন। দেশের একটি প্রথমসারির সংবাদ মাধ্যম তথ্য পরিসখ্যান দিয়ে সেই তথ্য তুলে ধরেছে।
আরও পড়ুন- গুঞ্জনে ফুলস্টপ, প্রকাশ্যে তাপসীর বিয়ের প্রথম ভিডিও!