রবিবার গভীর রাতেই ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে গভীর রাতেই পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আহতদের সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে দেখাও করেছেন তিনি। দিয়েছেন প্রশাসনিক সাহায্যের আশ্বাস। তারপরই শুধুমাত্র রাজনীতি করতে সেখানে ছুটে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
জলপাইগুড়িতে ঝড়ে আহতদের দেখতে হাসপাতালে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। বেশ কিছুক্ষণ হাসপাতালে ছিলেন তিনি। সেখান থেকে ময়নাগুড়ির বার্নিশ গ্রামেও যান শুভেন্দু। তবে এদিন স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে শুভেন্দুকে। কারণ, এদিন শুভেন্দু অধিকারী হাসপাতালে থাকায় তাঁর। নিরাপত্তার জন্য অনেকক্ষণ ধরেই গেট বন্ধ ছিল। অভিযোগ, এই কারণে ওপিডিও বন্ধ ছিল দীর্ঘক্ষণ। তার জেরে বাইরে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়।
ওপিডি বন্ধ থাকায় হাসপাতালের গেটে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। লাইনে দাঁড়ানো এক ব্যক্তিকে ক্ষোভের সঙ্গে বলতে শোনা যায়, ”এই সময় এলেন কেন? ওঁর এটা বোঝা উচিত। গোটা জেলা থেকে এই হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর জন্য প্রচুর মানুষ আসে। উনি এই সময়টা বেছে নিলেন কেন? উনি রাজনীতি করতে এসেছেন। মুখ্যমন্ত্রী রাতে এসেছিলেন। তখন আউটডোরে অত লোক আসে না। সমস্যা হয়নি।”
ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড জলপাইগুড়ি। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। তিনশোর বেশি আহত হাসপাতালে ভর্তি। গতকাল দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ আকাশ কালো করে ঝড় ওঠে। মাত্র ৫ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ হয়ে যায় জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত ময়নাগুড়ির বার্নিশ গ্রাম। ভেঙে পড়েছে কয়েকশো বাড়ি। প্রচুর গাছ উপড়ে পড়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। অনেকের ঠাঁই হয়েছে ত্রাণ শিবিরে।