দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হলেও লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) মুখে নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে দেশের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবানিকে (Lal Krishna Advani) ‘ভারতরত্ন’ (Bharat Ratna) সম্মানে ভূষিত করেছেন। আর সেই মতোই রবিবাসরীয় সকালে আডবানির দিল্লির বাড়িতে গিয়ে তাঁর হাতে ‘ভারতরত্ন’ সম্মান তুলে দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupodi Murmu)। তবে শুধু রাষ্ট্রপতি (President) নয়, এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নায়ডু, অমিত শাহ এবং রাজনাথ সিং। ইতিমধ্যে সেই ছবি রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে টুইটারে পোস্ট করা হয়েছে।
এদিন আডবানির হাতে ভারতরত্ন রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, “আডবানিজি অদম্য নিষ্ঠা ও দৃঢ়তার সঙ্গে কয়েক দশক দেশসেবা করেছেন। ভারতের সমাজ ও রাজনীতিগত পট পরিবর্তনে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য।” রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে আরও পোস্ট করা হয়েছে, “উপপ্রধানমন্ত্রী হিসাবে হোন বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সংসদীয় রাজনীতিতে তাঁর পাণ্ডিত্য সংসদকে সমৃদ্ধ করেছে”। তবে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে রাজনীতিতে ‘কোণঠাসা’ হয়ে পড়েন বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতা। তাঁকে বসিয়ে দেওয়া হয় মার্গদর্শক মণ্ডলীতে। এরপর রাজনীতিতে ধীরে ধীরে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ হয়ে পড়েন তিনি। তারপর থেকেই শুরু হয় চর্চা। আচমকা রাজনীতি থেকে আডবানির ‘আলবিদা’কে ভালো চোখে দেখেননি বিরোধীরা।
President Droupadi Murmu presented Bharat Ratna to Shri L. K. Advani at his residence. The formal ceremony was attended by Vice President Shri Jagdeep Dhankhar, Prime Minister Shri Narendra Modi, Defence Minister Shri Rajnath Singh, Home Minister Shri Amit Shah and the family… pic.twitter.com/flAH4OqaP1
— President of India (@rashtrapatibhvn) March 31, 2024
এছাড়া রামমন্দিরের উদ্বোধনেও কার্যত ব্রাত্যই থেকেছেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে রথযাত্রার মধ্যে দিয়েই অযোধ্যায় রামমন্দিরের আন্দোলনের প্রকৃত সূচনা হয়। আর সেই রামের নামে নিজের ইমেজকেই দেশবাসীর কাছে স্বচ্ছ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ব্রাত্য থেকে গিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের বরিষ্ঠ এই রাজনীতিবিদ। আর বিরোধীদের সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে লোকসভা ভোটের মুখে আডবানিকে ‘ভারতরত্ন’ নিয়ে নিজের দিকে ধেয়ে আসা প্রশ্নবাণের মোক্ষম জবাব দিলেও এই বিতর্ক এখানেই থামবে কী না সেদিকে নজর থাকবে।