বিরাটিতে বহুতলের চাঙড় ভেঙে মৃত্যু, গ্রেফতার প্রোমোটার সহ ৬

0
1

গার্ডেনরিচের পর শহরে ফের বহুতলের চাঙড় ভেঙে পড়ে মহিলার মৃত্যু৷ বিরাটির শরৎ কলোনিতে গত সন্ধে ৮টা নাগাদ ঘটে এই দুর্ঘটনা৷ মৃতের নাম কেয়া শর্মা চৌধুরী৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই নির্মীয়মান বহুতলের নীচে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলেন ওই মহিলা৷ আচমকাই তাঁর মাথায় এসে পড়ে চা্ঙড়৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু  হয়।এই ঘটনায় তিনজন ঠিকাদার-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিলার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে ৬জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

জানা গিয়েছে, নির্মীয়মাণ বিল্ডিংয়ের পাশেই থাকতেন কেয়া শর্মা। মোবাইলে কথা বলার সময় ঘটে দুর্ঘটনাটি। ওই ঘটনায় কেয়াদেবীর স্বামী সুদীপ শর্মা চৌধুরী ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে রাতেই এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই তদন্তে নেমে ৬জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

রবিবার পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, আমি ভাবতাম, উপর মহল থেকে নির্দেশ দিলেই কাজ হয়ে যায়। কিন্তু সেটা যে হয় না, তা দেখতে পাচ্ছি। আমার দুর্ভাগ্য যে এত চেষ্টা সত্ত্বেও দুর্ঘটনা আটকাতে পারছি না।ফিরহাদ আরও জানান, এ ব্যাপারে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। আগামী দিনে এমন নিয়ম করব, যাতে বেআইনি নির্মাণ করতে গেলে প্রোমোটারের পা কাঁপে।

কেয়া শর্মা চৌধুরীর স্বামী কাজ করতেন এয়ার ইন্ডিয়ায়৷ বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত৷ তাঁর ২৮ বছরের এক ছেলেও রয়েছে৷ ছেলে সৌভিক শর্মা চৌধুরী দাবি, অভিযুক্তদের শাস্তি হোক৷ এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে..অনেকবার বলেও লাভ হয়নি৷ মৃতার ননদ শুক্লা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, প্রশাসনের নজরদারির অভাবেই এই ঘটনা ঘটেছে ৷ তিনি বলেন, পাশে আত্মীয়রা জমি প্রোমোটারকে দেয় ৷ আগেও এই ধরনের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলাম আমরা৷ ওরা শোনেনি৷

শনিবার দুর্ঘটনার পর রাতে স্থানীয় পুর প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন মৃত মহিলার স্বামী।তার অভিযোগ, ৮ ফুটের রাস্তায় কীভাবে চারতলা বহুতল নির্মাণ হয়? পাশেই স্থানীয় কাউন্সিলরের অফিস। তাঁর অনুমতি ছাড়া নিশ্চয়ই প্রোমোটার এই কাজ করার সাহস পাবেন না।যদিও স্থানীয় কাউন্সিলর মহুয়া শীলের দাবি, বহুতল ভেঙে পড়েনি। নির্মীয়মান বিল্ডিং থেকে ইট খসে মাথায় পড়ে মহিলার মৃত্যু হয়েছে।