হাইকোর্ট কংগ্রেসের আবেদন খারিজ করে দিতেই ১৭০০ কোটি টাকার জরিমানার বোঝা আয়কর দফতর থেকে চাপানো হল জাতীয় কংগ্রেসের উপর। নির্বচনী আচরণবিধি লাগু অবস্থায় জাতীয় নির্বাচন কমিশন যে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরির নিদান দিয়েছিল, আয়কর দফতরের এই নোটিশে তা কোনওভাবেই রক্ষিত হচ্ছে না, দাবি কংগ্রেসের। একদিকে পুরোনো আয়কর সংক্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতে কংগ্রেসের উপর আয়কর দফতরের একের পর নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানার ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয় দলের তরফে। অন্যদিকে তথ্য পেশ করে দাবি করা হয় আয়কর দফতরের যে নিয়মের ভিত্তিতে কংগ্রেসকে জরিমানা করা হচ্ছে, তার ভিত্তিতেই ছাড় ব্যাপক ছাড় দেওয়া হচ্ছে বিজেপিকে।

আগেই আয়কর দফতর কংগ্রেসের তহবিল ফ্রিজ করে দিয়েছে ও ২০০ কোটি টাকা জরিমানা চাপিয়েছে। বৃহস্পতিবার আয়কর দফতরের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের আবেদন খারিজ হয়ে যায় দিল্লি হাইকোর্টে। শুক্রবারই ফের ১৭০০ কোটি টাকার জরিমানার বিজ্ঞপ্তি জারি হয় আয়কর দফতরের তরফে। ২০১৭-১৮ থেকে ২০২০-২১ সালের মধ্যে বেনিয়মের ভিত্তিতে এই জরিমানা বলে আয়কর দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়। কংগ্রেসের দাবি, নির্বাচনের আগে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে বিজেপির ৮,২৫০ কোটির দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসে যাওয়ায় এবার প্রতিহিংসার রাজনীতিতে নেমেছে তারা। কংগ্রেস দলকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করার যে প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে তাতে কংগ্রেস ভয় পেয়ে পিছপা হবে না বলে দাবি, কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশের।

পাশাপাশি বিজেপির বেনিয়মে দেখে আয়কর বিভাগ এমনকি নির্বাচন কমিশনও চোখ বন্ধ করে রয়েছে বলে দাবি কংগ্রেসের। আয়কর দফতরের নিয়ম ভেঙে যেভাবে বিজেপির তহবিল ভরেছে তাতে তাদের উপর ৪,৬০০ কোটি টাকার জরিমানা হওয়া উচিত বলে দাবি কংগ্রেসের। বিজেপির তহবিলে ৪২ কোটি হিসাব বহির্ভূত আয়ের উল্লেখ করা হয় কংগ্রেসের তরফে। আয়কর দফতরের নিয়ম উল্লেখ করে দাবি কংগ্রেসের। বিজেপির সাত বছরের দুর্নীতি দেখেও চোখ বন্ধ আয়কর দফতরের। অথচ কংগ্রেসের পাঁচ বছর আগের তথ্য যাচাই করে নির্বাচনের আগে আয়কর দফতরের জারি করা নোটিশের সমালোচনা কংগ্রেস নেতৃত্বের।








































































































































