My name is Bond, James থুড়ি Electoral Bond- এইভাবেই হয়তো গেরুয়া শিবিরকে শয়নে-স্বপনে ভয় দেখাচ্ছে নির্বাচনী বন্ড। এর বিরোধিতায় অবিজেপি দলগুলি সরব হবে এ তো স্বাভাবিক। কিন্তু ঘরের মধ্যে থেকেই ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে বিজেপিকে (BJP)। ঘরে-বাইরে একেবারে জোড়া ফলায় বিদ্ধ গেরুয়া শিবির। একদিকে নির্বাচনী বন্ডকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দুর্নীতি বলে ব্যাখ্যা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের (Nirmala Sitaraman) স্বামী বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ পরাকলা প্রভাকর। আর কিছুটা যেন দলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা নিজে এবারে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়াতে অস্বীকার করেছেন। কিন্তু কেন? গেরুয়া অর্থমন্ত্রীর যুক্তি, লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করার জন্য নাকি প্রয়োজনীয় টাকা নেই তাঁর। অবিশ্বাস্য হলেও এমন দাবিই করে বসেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই স্বামী-স্ত্রী দু’জনের কথাতেই লোকসভা নির্বাচনের মুখে চরম অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।

সরকারি খরচে নির্বাচন লড়ার বিষয় দাবি তুলেছিলেন তৃণমূল (TMC) সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। এতে স্বচ্ছতা থাকত, কালোবাজারি বন্ধ হত। কিন্তু তা না করে ইলেক্টোরাল বন্ড চালু করে কেন্দ্র। বন্ডের নামে বিজেপি (BJP) সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা পকেটে পুরেছে বলে অভিযোগ। সেই খবর বিজ্ঞাপন আকারে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ করতে চেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু কিছু আঞ্চলিক সংবাদপত্র ছাড়া সেই বিজ্ঞাপন প্রকাশের ঝুঁকি নেয়নি কোনও সংবাদপত্রই। এর থেকে স্পষ্ট, সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করে একনায়কতন্ত্র চালানোর চেষ্টা করছে মোদি সরকার।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, শীর্ষ আদালত নির্বাচনী বন্ডকে অবৈধ ঘোষণা করার পরেই ব্যাকফুটে বিজেপি। বিষয়টা কেন্দ্রের শাসক গেরুয়া দলেরই মস্তিষ্কপ্রসূত বলে স্বাভাবিকভাবেই সমস্ত অভিযোগের আঙুল উঠেছে মোদির দিকেই। আবার গোদের ওপর বিষফোড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে নির্মলার স্বামীর মন্তব্য। রাখঢাক না করেই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচনী বন্ড নামে অপকর্মের ফল ভোগ করতে হবে বিজেপিকেই। এবং তা সামনের লোকসভা নির্বাচনেই। সেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়াতেই নির্মলা রণেভঙ্গ দিলেন বলে মনে করছেন অনেকেই। সব মিলিয়ে এখন বন্ড চাপে নাজেহাল পদ্ম শিবির।








































































































































