দোলের দিন রোগীর আত্মীয়দের ভরসা ‘হসপিটাল ম্যান’

0
1

তিনি সরকারি হাসপাতালের রোগীদের পরিবারের মুখে তুলে দেন খাবার৷ নয় নয় করে সাত বছর। দরিদ্র, অসহায় পরিবারগুলিকে দুবেলা খাবার দিয়ে সাহায্য করেছেন৷ শহর কলকাতার একজন পুলকার চালক হয়ে উঠেছেন ‘হসপিটাল ম্যান’৷

চিত্তরঞ্জন সেবা সদন হাসপাতালের সামনে একাকী ৫২ বছর বয়সি পার্থ সোমবার আয়োজন করেছিলেন বসন্ত উৎসবের। বলা ভালো একেবারে ঘরোয়া আয়োজনে রোগীর আত্মীয় পরিজনদের মুখে হাসি ফোটাতে এই উৎসবের জুড়ি মেলা ভার, বলছেন খোদ পার্থ।
সরকারি হাসপাতালের রোগীদের পাশে থাকতে হয় তাদের বাড়ির লোকেদের৷ দিনভর চিকিৎসা সংক্রান্ত দৌড়াদৌড়িতে সময় চলে গেলে তাদের আর খাওয়ার সময় মেলে না৷ তাছাড়া চিকিৎসা ব্যয়ে জর্জরিত পরিবারগুলির খাবার কিনে খাওয়ার সামর্থ্যও অনেক সময় থাকে না৷ তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশে বিপুল জনসংখ্যায় রোগীর পরিবারকে খাবার জোগান দেওয়ার ব্যবস্থা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফেও করা হয়নি৷ তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, রোগীর খাবার থেকেই ভাগ নিচ্ছেন পরিবারের মানুষজন৷ এতে রোগীর পুষ্টির ঘাটতি হয়ে যায়৷ প্রতিদিন দেড়শ জনকে খাবার দিই। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন , হোলির মতো দিনে সব দোকান বন্ধ থাকে ।
সমস্যাটা নিয়ে বিচলিত হয়েছিলেন দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাট এলাকার বাসিন্দা পেশায় পুলকার চালক পার্থ কর চৌধুরী৷

তিনি সাত বছর লাগাতার ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে তিনটি সরকারি হাসপাতালের সামনে রোগীর পরিবারের মুখে তিনবেলা খাবার তুলে দিয়েছেন বিনা পয়সায়৷