দলের মধ্যেই ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে গিয়েছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। দলবদলু শুভেন্দু অধিকারীর (Shuvendu Adhikari) ছড়ি ঘোরানো বা ইন্টার্ন BJP রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) সিদ্ধান্ত মানতে পারছিলেন না দিলীপ। তার খেসারত দিতে হল নিজের জেতা সিট অন্য প্রার্থীকে ছেড়ে। মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে কার্যত অপমান করে সরিয়ে দেওয়া হল দিলীপ ঘোষকে। আর তাকে দেওয়া হল বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্র যেখানে বিজেপির গোষ্ঠিকোন্দল চরমে।
২০১৯ সালে BJP-র অন্দরে দিলীপের যে দাপট ছিল তা আজ উধাও। শুভেন্দুর কলকাঠি নাড়ার ফলে রাজ্য সভাপতির পদও যায় দিলীপের। আর এবার নিজের গড়ে লড়ার সুযোগটাও গেল। জল্পনা ছিল অনেক দিনই। নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে প্রধানমন্ত্রীর বাংলা সফরে কোনও সভামঞ্চেই দেখা যায়নি দিলীপ ঘোষকে। প্রথম প্রার্থী তালিকাতেও তাঁর নাম ছিল না। বিজেপি সূত্রে খবর, তাঁকে মেদিনীপুর থেকে সরাতে বারবার দিল্লি উড়ে গিয়েছেন শুভেন্দু-সুকান্ত। শেষে বঙ্গ বিজেপির ‘দলবদলু’ নেতার কান ভাঙানোতে মজে গিয়ে মোদি-শাহ-নাড্ডারা দিলীপকে জেতা কেন্দ্র থেকে সরিয়ে দিলেন। কার্যত অপমানিত প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। অভিনেত্রী-বিধায়ক তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়ার সঙ্গে লড়ার জন্য বেছে নেওয়া হল অগ্নিমিত্রা পালকে।
কেটে বদলে প্রশ্ন করা হলে হতাশ দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, “গোটা বাংলাই আমার চেনা। রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন সব জায়গায় গিয়েছি। দল এবার দায়িত্ব দিয়েছে একটা এমপি সিট জেতানোর। সে বাংলার যেখান থেকে লড়তে হবে, জিতিয়ে দেব। কাল থেকেই বর্ধমান-দুর্গাপুরে গিয়ে থাকতে শুরু করব।” তবে এই বিষয়টা তিনি যে মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না তা স্পষ্ট দিলীপের কথায়।
আরও পড়ুন- গেরুয়া দ.খলদারি হটিয়ে JNU-তে ছাত্র-ভোটে লাল ঝড়