বাংলা মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আবাস যোজনা থেকে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা আটকে রাখার অভিযোগ করে আসছে।কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ শুধুমাত্র বাংলার নয়, সেই একই অভিযোগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কর্নাটক সরকার। শনিবার শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একটি হলফনামা জমা দিয়েছে সিদ্দারামাইয়া সরকার। আবেদন করা হয়েছে, জাতীয় খরা ত্রাণ তহবিলের অর্থ দিতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট।
মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দিরামাইয়া বলেছেন, ‘খরায় বিপর্যস্ত সারা রাজ্য। এ নিয়ে কেন্দ্রকে একটি রিপোর্টও পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী, রিপোর্ট পাওয়ার এক মাসের মধ্যে পদক্ষেপ করার কথা। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ত্রাণ তহবিলের ব্যাপারে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তিনি জানান, চলতি বছরে ৪৮ লক্ষ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে কর্নাটকে। এ নিয়ে তিন বার কেন্দ্রকে তাঁরা তথ্য দিয়েছেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।
তার আরও অভিযোগ, তিনি নিজে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছেন। এমনকি, প্রধানমন্ত্রী মোদি যে সম্প্রতি কর্নাটকে এসেছিলেন, তখনও খরা পরিস্থিতির কথা স্মরণ করিয়েছেন। কিন্তু তার পরও কেন্দ্রের তরফে কোনও সাহায্য আসেনি।’
রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার দাবি করেন, ‘গত তিন-চার দশকে এমন খরা পরিস্থিতি দেখিনি।’ সেই সঙ্গে তিনি রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে জানান, আগামী দু’মাস ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ’। জল সঙ্কট মোকাবিলায় বেঙ্গালুরুতে যত কূপ আছে তার মধ্যে প্রায় ৭ হাজার কূপ নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। সরকারের তরফে হেল্পলাইন নম্বর খোলা হয়েছে।
তাদের অভিযোগ, গত ডিসেম্বরে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলেন কৃষকদের ভর্তুকি দেওয়ার। তিনি জানিয়েছিলেন কী ভাবে বৃষ্টির অভাবে রাজ্যের হাহাকার অবস্থা। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে কোনও সাহায্য মিলছে না বলে অভিযোগ করেছে কর্নাটক সরকার।



































































































































