ম্যাচ শেষে ইডেন মাতালেন কিং খান, ভিডিও পোস্ট কেকেআরের

0
2

শনিবার ইডেনে কলকাতার নাইট রাইডার্সের প্রথম ম্যাচ দেখতে ইডেনে এসেছিলেন নাইট কর্ণধার শাহরুখ খান। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে ছিলেন প্রচুর ফ্যান। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচে চার রানে জয় পাওয়ার পর, তিনি যখন মাঠ থেকে বেরোলেন, তখন মধ্যরাত। তখনও বাড়িমুখো হননি কেকেআর ফ্যানরা। কিং খানকে এক ঝলক দেখার আশায় স্টেডিয়ামের বাইরে অপেক্ষায় তাঁরা। এত বছরে কলকাতার আবেগ টের পেয়েছেন বহুবার। আর তাই ম্যাচ শেষ হতেই মাঠ ছাড়লেন না তিনি।

মাঠে বসে শ্রেয়স আইয়ারদের হয়ে গলা ফাটানো তো ছিলই। সঙ্গে ম্যাচ শেষে গোটা ইডেন ঘুরে সমর্থদের অভিবাদন জানালেন শাহরুখ। আর ইডেনের বাইরে এসেও হাত নাড়লেন ফ্যানদের জন্য। আর তাতেই উচ্ছ্বসিত কেকেআর সমর্থকরা। সাদা ফুল হাতা টি শার্ট, ফেডেড জিনসে নায়কোচিত এন্ট্রি।ম্যাচ শেষে আবার দলের সঙ্গে দেখা করেন শাহরুখ খান। কথা বলেন মেন্টর গৌতম গম্ভীরের। এছাড়াও রাসেল, রিঙ্কু, গুরবাজদের সঙ্গেও সময় কাটান বলিউড বাদশা। যেই ভিডিও পোস্ট করে কেকেআর। শনিবার দুপুরে আবার জয় পেয়েছিল প্রীতি জিন্টার পাঞ্জাব কিংস। ম্যাচ শেষ হতেই দর্শকদের ফ্লাইং কিস ছুড়ে দেওয়া প্রীতিকে দেখে আগেই মুগ্ধ হয়েছিল নেটপাড়া। বেলা গড়াতেই কিং খানের এন্ট্রি যেন উইকএন্ড মাতিয়ে দিল বাঙালির। একদিকে প্রিয় দলের জয়, আর অন্যদিকে মাঠের বাইরে পর্দার বীর জারার উপস্থিতি আরও আনন্দ দিল বাঙালি ক্রিকেটপ্রেমীদের।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Kolkata Knight Riders (@kkriders)

এদিকে শনিবার টসে জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২০৮ রান করে কেকেআর। তবে তারপরেও তা নিরাপদ বলে মনে হচ্ছিল না হায়দরাবাদ ব্যাট করতে নামার পর। আশঙ্কায় ছিলেন নাইট ফ্যানরা। অভিষেক শর্মা ও মায়াঙ্ক আগারওয়াল তখন দুর্দান্ত ফর্মে। পরের দিকে হেনরিখ ক্লাসেন ব্যাট করতে এলেও একই ফল হয়। ১৯ তম ওভারে ফের বল করতে এসে ২৬ রান খেয়ে বসেন বিশ্বকাপ জেতা বোলার মিশেল স্টার্ক। তার ফলে শেষ ওভারে মাত্র ১৩ রান দরকার ছিল হায়দরাবাদের। টি২০ ক্রিকেটের যুগে যা প্রায় জলভাত। তবে সেই সময় মাথা ঠাণ্ডা রেখে ম্যাচ বের করে আনেন হর্ষিত রানা। রানা দুই উইকেট তুলে না নিলে ৪ রানে জিততে পারত না কেকেআর। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৪ রানে শেষ হয় হায়দরাবাদের ইনিংস। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন নাইট ফ্যানরা।

আরও পড়ুন- কেকেআরকে ম্যাচ জিতিয়েও শাস্তির মুখে হর্ষিত, কিন্তু কেন?