সুপ্রিম কোর্টের পর অস্বস্তি জারি নিম্ন আদালতেও! ফের জামিনের মেয়াদ বাড়ল কে কবিতার

0
4

শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India) খারিজ হয়ে গিয়েছিল জামিনের আবেদন (Bail Plea)। শীর্ষ আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় আইন মেনে আবেদনের বিষয়টি। এরপরই নিম্ন আদালতে আবেদন জানাতে বলা হয়েছিল ভারত রাষ্ট্র সমিতির (BRS) নেত্রী কে কবিতাকে (K Kavita)। আর সেই মতো শনিবার নিম্ন আদালতে গেলেও পিছু ছাড়ল না অস্বস্তি। দিল্লির আবগারি মামলায় ধৃত তেলঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও-এর মেয়ে কে কবিতাকে আরও তিন দিন ইডি হেফাজতের (ED Custody) নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত (Rouse Avenue Court)। শনিবার ইডি হেফাজত শেষে কবিতাকে আদালতে হাজির করানো হয়। এদিনের শুনানি চলাকালীন বিআরএস নেত্রীকে আরও পাঁচ দিনের হেফাজতে চেয়ে পাল্টা আবেদন করেন ইডির আইনজীবী। কিন্তু সওয়াল জবাব শেষে তাঁকে ৩ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

তবে এদিন ইডি আদালতে সাফ জানায়, আবগারি মামলায় বর্তমানে কবিতার ভাগ্নে মেখা সারণের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে অভিযুক্তের বয়ান সামনে এনে কবিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এমনকি, তাঁর মোবাইল থেকে প্রাপ্ত তথ্যকে সামনে রেখেও বিআরএস নেত্রীকে জেরা করেছেন গোয়েন্দারা। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের অভিযোগ, কবিতার ফোন থেকে নাকি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। আর সেকারণেই সেই সমস্ত তথ্য উদ্ধার করতে বিআরএস নেত্রীর ফোন ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এরপরই তদন্তের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে কবিতার জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে ইডি। সেই সঙ্গে ইডির তরফে আরও জানানো হয় হেফাজতে থাকাকালীন ২৪ ঘণ্টা অন্তর অন্তর কবিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা রয়েছে তাঁর। সেই কারণে চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো তাঁকে প্রয়োজনীয় ওষুধও দেওয়া হচ্ছে।

তবে এদিন কবিতার পক্ষ থেকে তাঁর আইনজীবী নীতেশ রাণা জামিনের আবেদন করলেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উল্টে তাঁকে আরও ৩ দিন ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। দিল্লির আবগারি মামলায় গত ১৫ মার্চ দুপুরে কবিতার হায়দরাবাদের বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। চলে তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ। তারপর বিকেলে বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও ইডির গ্রেফতারি যে একেবারেই বেআইনি তা নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।