লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে কড়া অবস্থান নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। পশ্চিমবঙ্গ সারা দেশে একমাত্র রাজ্য, যেখানে ভোট করাতে কমিশন ৯২০ কোম্পানি বাহিনী চায়। ভোট ঘোষণার আগে থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রুট মার্চ শুরু করেছে বাহিনী।
আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কয়েক দফা নির্দেশ ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের পাঠিয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর।
(১) অতীতে হওয়া লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে যাদের বিরুদ্ধে বুথ দখল, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ এসেছে, থানায় তাদের তালিকা তৈরি করতে হবে।
(২) যাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন চলাকালীন গুলি চালানোর অভিযোগ এসেছে, তাদেরও তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

(৩) যে সমস্ত ওয়ারেন্ট পড়ে আছে, তা অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে।
(৪) এসপি, সিপি-দের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে ঘন ঘন পর্যালোচনা করতে হবে।
(৫) বিগত নির্বাচন চলাকালীন যাদের বিরুদ্ধে আইন ভাঙার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ ও কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা তাদের নাম সহ বিস্তারিত ১৫ দিনের মধ্যে দিল্লির নির্বাচন কমিশনের দফতরে পাঠাতে হবে।
(৬) বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করতে অভিযান চালিয়ে যেতে হবে।
(৭) কমিশনের তরফে জেলা শাসকদের বলা হয়েছে, যে কোনও রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে অভিযোগ এলেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেটাকে নিষ্পত্তি করতে হবে। অভিযোগ কোনওভাবে ফেলে রাখা যাবে না। কমিশনে অভিযোগ জানাতে পারেন সাধারণ ভোটাররাও
সাধারণ মানুষের অভিযোগ শোনার জন্য ইতিমধ্যে টোল-ফ্রি নম্বর (১৯৫০) চালু করেছে কমিশন। তাতে ফোন করে যে কেউ অভিযোগ জানাতে পারবেন বলেই জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন চালু করেছে বেশ কিছু অ্যাপও। এমনকী ভোটার লিস্টে নাম আছে কি না, সেটাও জেনে যাবেন ভোটাররা।



 
 
 
 


































































































































