অবশেষে ৮টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল বামফ্রন্টের জোট সঙ্গী ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)। বামেদের মতই এককভাবে প্রার্থী ঘোষণা করে দিল আইএসএফ। তবে তাৎপর্যপর্ণভাবে এই তালিকায় নাম নেই ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের। নাম নেই ভাঙ্গড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির! এমন কিছু আসনে আইএসএফ প্রার্থী দিয়েছে, সেখানে বামেদেরও প্রার্থী রয়েছে। অর্থাৎ, জোট যে এখনও ঘোট পাকিয়ে আছে, তা স্পষ্ট।
আজ, বৃহস্পতিবার ফুরফুরা শরিফে আইএসএফের রাজ্য কমিটির বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম ঘোষণা করেন আইএসএফ কার্যকরী সভাপতি সামসুর আলি মল্লিক। তালিকায় দেখা যাচ্ছে, মালদহ উত্তর কেন্দ্রে আইএসএফের প্রার্থী মহম্মদ সোহেল। জয়নগরে প্রার্থী করা হয়েছে মেঘনাথ হালদারকে। মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হাবিব শেখ। বারাসতে প্রার্থী করা হল তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বসিরহাটে প্রার্থী হচ্ছেন মহম্মদ শহিদুল ইসলাম মোল্লা। মথুরাপুর আসনে দাঁড় করানো হয়েছে অধ্যাপক অজয়কুমার দাসকে। শ্রীরামপুর লোকসভা আসনে আইএসএফের প্রার্থী শাহরিয়ার মল্লিক। ঝাড়গ্রামেও আইএসএফের টিকিট পাচ্ছেন অধ্যাপক বাপি সোরেনকে।
ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। যদিও আজকের প্রথম পর্বের প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম ঘোষণা হয়নি। নওশাদ বলেন, “রাজ্য কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। এখনও আলোচনার পথ খোলা আছে।” শ্রীরামপুরে সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর, তিনি প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন। সেই শ্রীরামপুর কেন্দ্রে আইএসএফ প্রার্থী দেওয়ায় জোটে জট পাকিয়েছে। নওসাদের বক্তব্য, “আইএসএফের জন্ম হয়েছে ফুরফুরা থেকে। সেই ফুরফুরা শ্রীরামপুর কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। এছাড়াও শ্রীরামপুর লোকসভার চণ্ডীতলা- জাঙ্গিপাড়া- ডোমজুড়- জগৎবল্লভপুর এর মতো অনেক জায়গায় আইএসএফের শক্তি রয়েছে।” এটা প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা। ধীরে ধীরে আরও তালিকা প্রকাশ করা হতে বলেও জানিয়েছেন নওশাদ।
বামেদের নিয়ে কিছুটা কটাক্ষ করেছেন নওশাদ। তাঁর কথায়, “যাদবপুর নিয়ে সেন্টিমেন্টের কথা বলে বামেরা। আমাদের সেন্টিমেন্টও কম নেই। অঙ্কের বিচারে ওই কেন্দ্রে একটা বিধানসভা শুধু জিতে আছি তা নয়, অন্য তিনটি বিধানসভাতেও আইএসএফের শক্তি আছে।”