যত কাণ্ড যোগীরাজ্যে (Yogi State)! লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেলেও অশান্তি যেন কিছুতেই থামছে না উত্তর প্রদেশে (Uttar Pradesh)। প্রতিদিনই একের পর এক হিংসা, খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসছে যোগীরাজ্যের নাম। মঙ্গলবার ফের এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠল উত্তরপ্রদেশের বদাঁয়ুর বাবা কলোনি এলাকায়। সূত্রের খবর, চা খাওয়ার নাম করে প্রতিবেশীদের বাড়িতে গিয়ে দুই নাবালককে খুনের অভিযোগ যোগীরাজ্যের এক যুবকের বিরুদ্ধে। আর সেই যুবককে ধরতে গিয়েই একেবারে এনকাউন্টারের (Encounter) অভিযোগ উঠল যোগী পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। মৃতের নাম মহম্মদ সাজিদ (২২)। তবে যোগী পুলিশের এমন এনকাউন্টারের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগেও একাধিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে অপরাধীদের এনকাউন্টারের তালিকায় একেবারে শীর্ষে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। যা নিয়ে মাথা হেঁট হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। যদিও ঘটনার কথা সামনে আসতেই নিজেদের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপাতে মরিয়া যোগী পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাবা কলোনি এলাকায় একটি পার্লারের মালিক ছিল অভিযুক্ত সাজিদ। মঙ্গলবার রাতে তাঁর প্রতিবেশী বিনোদ ঠাকুরের বাড়িতে গিয়ে আচমকাই চা পানের অনুরোধ জানায় যুবক। সেই সময় বিনোদের তিন নাবালক ছেলেরা ছাদে খেলা করছিল। তাদের সঙ্গে দেখা করার অছিলায় সোজা ছাদে চলে যান সাজিদ। পুলিশের দাবি, ছাদে গিয়ে ধারালো অস্ত্র চালিয়ে বিনোদের ১৩ বছর এবং ছ’বছর বয়সি দুজনকে খুন করে। তারপর ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। এদিকে বিষয়টি নজরে আসতেই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশের দাবি, অভিযুক্তকে গ্রেফতারির দাবিতে এলাকার কয়েকটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেন স্থানীয়রা। তবে বিনোদের দুই বাচ্চাকে খুনের নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এরপরই পলাতক অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর নিকটবর্তী একটি জঙ্গল থেকে সাজিদের খোঁজ পায় পুলিশ। পুলিশ তাকে ধরতে গেলে তাদের উপর পাল্টা আক্রমণ চালায় সাজিদ। এরপর দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। কিছুক্ষণ পর পুলিশের পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয় সাজিদের। পুলিশ সূত্রে খবর, গুলি লাগার পর নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাঁচানো যায়নি অভিযুক্তকে। তবে আইনের রাস্তায় না হেঁটে অভিযুক্তকে কেন এনকাউন্টার করা হল তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।