তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতি! নগদ-গয়না নিয়ে চম্পট দুষ্কৃতী দলের

0
2

তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC Councilor) বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতির অভিযোগ! ঘটনাকে কেন্দ্র করে লোকসভা নির্বাচনের আগেই নতুন করে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুরে (Kharagpur)। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতের অন্ধকারে তৃণমূল কাউন্সিলরের অনুপস্থিতিতে তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় একটি দুষ্কৃতী দল। এরপরই তৃণমূল কাউন্সিলরের স্ত্রীর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না এবং নগদ টাকা ছিনতাই করে চম্পট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম বনথা মুরলী (Banatha Murli)। মঙ্গলবার খড়্গপুর পুরসভার অন্তর্গত ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের রেল কলোনির মথুরাকাটিতে কাউন্সিলরের বাড়িতে এমন দুঃসাহসিক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। তবে ঘটনায় নগদ ও সোনা উদ্ধারের পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে তৃণমূল কাউন্সিলর মুরলী বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগে আচমকাই চার দুষ্কৃতী বাইকে চেপে তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ওই সময় বাড়িতে একাই ছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলরের স্ত্রী বিজয়া। দুষ্কৃতীরা প্রথমে বাড়িতে ঢুকে বিজয়ার হাত-পা বেঁধে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না-সহ টাকা ছিনতাই করে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। বিজয়ার অভিযোগ, তাঁদের বাড়িতে কোনও বাইরের লোক ঢোকেন না। কিন্তু ওই চার জন স্বামীর খোঁজ করতে করতে জোর করে বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে। বারবার মানা করলেও তারা শোনেনি বলে অভিযোগ। বিজয়া আরও জানান, প্রথমেই দুষ্কৃতীরা আমার হাত বেঁধে দেয়। বিছানায় ফেলে বেঁধে দেওয়া হয় পাও। এরপর আমার সামনে সামনে বন্দুক ধরে নগদ ও সোনা নিয়ে চম্পট দেয় তারা।

কাউন্সিলর বনথা বলেন, ওই সময় বাড়িতে স্ত্রী সেলাইয়ের কাজ করছিলেন। আমি পার্টি অফিসে ছিলাম। চার জন সোজা ঘরে ঢুকে বন্দুক দেখিয়ে স্ত্রীর হাত, পা বেঁধে সোনার গয়না এবং টাকা নিয়ে পালায়। এর আগে ওই এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে ঠিকই, কিন্তু আমার সঙ্গে এই প্রথম। এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই বুধবার সকালে কাউন্সিলরের বাড়িতে যান প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার। তিনি বলেন, খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি জানান তিনি।