গার্ডেনরিচ কাণ্ডের মধ্যেই বুধবার পুরসভার বৈঠকে ঢুকেই ১৩৪ নম্বরের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে জোর ধমক দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ক্ষোভ উগরে দিয়ে মেয়র ইঞ্জিনিয়ারকে উদ্দেশ করে বলেন, “এই ছেলেটি ইন এফিশিয়েন্ট। এর জন্য আমাদের মানসম্মান ডুবেছে। এর জন্য আমাকেও চোর বদনাম শুনতে হচ্ছে। কোনও নেতা, কেউকেটা বা মন্ত্রী বা কারও বেআইনি কোনও কথা শুনবেন না। আমরা যারা জনপ্রতিনিধি তারা পাঁচ বছরের জন্য থাকি। তারপর চেঞ্জ হয়ে যাই। যারা আধিকারিক আছেন, তাদের ফুল টার্ম থাকতে হবে। কোনও অনৈতিকতার কাছে মাথা নত করবেন না। এমন কোনও কাজ করবেন না, যাতে ওই কাজের মাশুল হিসাবে একজন মানুষেরও প্রাণ যায়।”
এখানেই শেষ নয়। ফিরহাদ আরও বলেন, “আপনার ভুলের জন্য এতগুলো মানুষের প্রাণ গেল। হয় আপনি অপদার্থ না হয় আপনি চোর। আপনার অপদার্থতার জন্য মানুষ আমাকে, কলকাতার মেয়রকে চোর বলছে। অপবাদ দিচ্ছে। কেন আমাকে তা শুনতে হবে?”
এদিন বৈঠক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় একটি অ্যাপ তৈরি করা হবে। সমস্ত ইঞ্জিনিয়াররা ফিল্ডে ঘুরে বেআইনি নির্মাণ দেখতে পেলে ছবি তুলে সেই অ্যাপে আপলোড করবেন। আপাতত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়ে এই অ্যাপটি চালানো হবে। এখন কোনও কাউন্সিলর যদি সেই বেআইনি নির্মাণ রাখার নির্দেশ দেন, তাহলে সেই নির্দিষ্ট কাউন্সিলরকে লিখিত দেওয়ার কথা বলবেন সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়াররা।
আরও পড়ুন- প্রোমোটারকে ১ কোটি টাকা জরিমানা, বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ আদালতের