অভিষেকের সভার পরই দিলীপ ঘোষের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জুন মালিয়া

0
1

লোকসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পরেই সমস্ত প্রার্থীরা জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়েছেন। একইভাবে প্রচার করছেন জুন মালিয়া। যদিও এই কেন্দ্রে এখনও প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারেনি বিজেপি সহ বিরোধীরা। আজ, মঙ্গলবার সকালে বাংলার অধিকার যাত্রার সূচনা করে দাঁতন ২নং ব্লকের সাউরি চন্ডী মন্দিরে আশীর্বাদ প্রার্থনা করে প্রচার শুরু করেন জুন।

জেলা সফরে বেরিয়ে সম্প্রতি বেলদায় জুনের সমর্থনে সভা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা থেকে বলেছিলেন যে, মেদিনীপুরের ৬.১০ লক্ষেরও বেশি ১০০ দিনের শ্রমিকরা রাজ্য সরকারের মাধ্যমে ২৮২ কোটি টাকার বেশি তাদের বকেয়া মজুরি পেয়েছেন। তাঁর কথায়, “জেলার ১১.৯৯ লক্ষেরও বেশি মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে সহায়তা পেয়েছেন, যেখানে ১৮.২১ লক্ষেরও বেশি মেয়ে কন্যাশ্রী সুবিধাভোগী হয়েছেন। জেলার ৪৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ বিনামূল্যে রেশন পেয়েছেন। ৩৮,০০০ এরও বেশি সুবিধাভোগী জয় জোহর প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন যেখানে ৫৩,০০০ জন উপকৃত হয়েছেন তপশিলি বন্ধু প্রকল্প থেকে। বিজেপির রিপোর্ট কার্ড কোথায়?”

এবার দাঁতনের একটি সভা থেকে তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া বলেন “মেদিনীপুরের সাংসদের দায়িত্বের মধ্যে তো এটাও পরে যে, তার লোকসভা কেন্দ্রের মানুষেরা ১০০ দিনের টাকা ও আবাস যোজনার টাকা পাচ্ছে কিনা সেটা দেখার কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। কেন উনি তো দিল্লি গিয়ে নিজের কেন্দ্রের সাধারণ মানুষের বঞ্চনার কথা তুলে ধরতে পারতেন ওনার তো প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে অনেকের সাথেই ভালো সম্পর্ক কিন্তু বলেননি কেন? আমি দিল্লিতে আপনাদের সমস্ত বঞ্চনার কথা তুলে ধরব তাই জন্য আমাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে দায়িত্ব দিয়েছে তা পূরণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করবো।”

এদিনের প্রচারে তার সঙ্গে ছিলেন দাঁতনের বিধায়ক বিক্রম চন্দ্র প্রধান। তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়াকে কাছে পেয়ে সেলফি তুলতে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ। এরপর তিনি জনসংযোগের জন্য বেছে একটি চায়ের দোকান, যেখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন জুন।