নির্ধারিত ছিল শুনানির দিন।আশায় ছিলেন সরকারি কর্মীরা। কিন্তু সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হল না ডিএ মামলার। রাজ্য সরকারি কর্মীদের অপেক্ষা আরও বৃদ্ধি পেল।সপ্তাহের প্রথম দিনই আশাহত হলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। সোমবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে মামলাটি তালিকাভুক্ত হয়েছিল। তার আগে মামলাটি ১১ বার শুনানির জন্য উঠেছে। তার মধ্যে এক বারই দীর্ঘ সময়ের জন্য মামলাটি শোনা হয়।
২০২২ সালে ১৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে প্রথম বার ওঠে ডিএ মামলা। গত ১ ডিসেম্বর মামলাটির শেষ বার শুনানি হয়েছিল। গত বছর ৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, পশ্চিমবঙ্গের ডিএ মামলার আরও বিস্তারিত শুনানি প্রয়োজন। জানানো হয়, ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে মামলাটি শুনানির জন্য আসবে। সেই অনুযায়ী সোমবার মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
গত বছর ২১ ডিসেম্বর রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই ঘোষণা অনুযায়ী, ১০ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন সরকারি কর্মচারীরা। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হওয়ার কথা। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধিত হারে রাজ্যের ১৪ লাখ সরকারি কর্মীকে ডিএ দিতে প্রায় ২,৪০০ কোটি টাকা খরচ হবে।যদিও, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরও রাজ্য সরকারি কর্মচারী একাংশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, ১৪ মাসে ১১ শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে কোনও লাভ হবে না। কেন্দ্রীয় হারে অর্থাৎ সপ্তম বেতন কমিশন অনুযায়ী ডিএ দিতে হবে। বর্তমানে, ২০২৪-এর জানুয়ারি থেকে সপ্তম বেতন কমিশন অনুযায়ী ৫০ শতাংশ হারে ডিএ বা মহার্ঘ্যভাতা পাচ্ছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। অন্যদিকে, ২০২৪ সালের মে মাস থেকে ৪ শতাংশ ডিএ বেড়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১৪ শতাংশ।
এই আবহের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।কিন্তু, সোমবারও সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রর বেঞ্চে নির্দিষ্ট সময়ে ডিএ মামলাটি না ওঠায় ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করল রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন।




































































































































