Sandeskhali: মিলল না জামিন! আলমগীর-সহ ধৃত ৩ জনের CBI হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

0
1

মিলল না রেহাই। আগামী ৫ দিন সিবিআই-র (CBI) হেফাজতেই থাকতে হবে ধৃত শাহজাহান শেখের (Saahjahan Seikh) ভাই আলমগীর শেখ (Alamgir Seikh)-সহ তিন জনকেই। শনিবার রাতেই শাহজাহানের ভাই আলমগীর ছাড়াও মাফুজার মোল্লা, সিরাজুল মোল্লাকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এরপর রবিবার দুপুরেই ৩ জনকে সিবিআই হেফাজতের (CBI Custody) সাজা শোনাল বসিরহাট মহকুমা আদালত। এদিন আলমগীর-সহ ধৃত ৩ জনের জন্য ১৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের আবেদন জানায় সিবিআই-র আইনজীবী। কিন্তু আদালত সেই আর্জি খারিজ করে ৫ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি তদন্তকারী আধিকারিক বিচারককে জানান, ওই ৩ জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। কাদের প্রশ্রয়ে এতদিন গা ঢাকা দিয়েছিল শেখ শাহজাহান? সেকথা জানতেই আলমগীর-সহ ৩ জনকে জেরা করবে সিবিআই। এদিন আদালতে ধৃত ৩ জনের জামিনের আবেদন জানানো হলেও সেই আবেদনকে গুরুত্ব দেয়নি আদালত। এদিকে রবিবার সকালে জোকা ইএসআইতে শাহজাহানকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

অন্যদিকে, রবিবার সকাল থেকেই ফের অশান্ত সন্দেশখালি। এদিন রামপুর বাজারে টায়ারে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, সন্দেশখালি রামপুর ২ নম্বরে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হাজি সিদ্দিক মোল্লা, হাশেম মোল্লা, জুলফিকার মোল্লা সহ বেশ কয়েকজন এলাকার মানুষদের জমি গায়ের জোরে দখল করে রেখেছে। বছর তিনেক ধরে এলাকাবাসীদের উপর লাগাতার অত্যাচারের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ৩ জনের গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার সকাল থেকেই অশান্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রবিবারও সন্দেশখালি থানার কাছে সন্দেশখালি সামাজিক শিক্ষা কেন্দ্রের মাঠে স্থানীয়দের অভিযোগ শোনার জন্য বিশেষ একটি ক্যাম্প খোলা হয়েছে। এদিন বেলা বাড়তেই সেই ক্যাম্পে দেখতে পাওয়া যায় স্থানীয়দের। তবে সন্দেশখালিকে অশান্ত করার পিছনে বিরোধীদের লাগাতার ইন্ধনকেও কাঠগড়ায় তুলছেন স্থানীয়রা। তাঁদের মতে, প্রায় প্রতিদিনই এখানে বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা এসে একের পর এক আলটপকা মন্তব্য করে চলেছেন। আর তার জেরে  অশান্ত হয়ে উঠছে সন্দেশখালি।

শনিবারের পর রবিবারও বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের নেতৃত্বে ১৫ জন আইনজীবীর একটি দল সন্দেশখালিতে যান। এদিন এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল ভবন থেকে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, বিজেপির হাতে এই মুহূর্তে কোনও ইস্যু নেই। আর সেকারণে সন্দেশখালিকেই বারবার অশান্ত করার চেষ্টা করছে গেরুয়া শবির। ইতিমধ্যে, একাধিক জায়গায় অভিযোগ নেওয়ার জন্য ক্যাম্প খোলা হলেও জোর করে একাধিক জায়গায় পৌঁছে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে অশান্তির চেষ্টার অভিযোগ সামনে আসছে। গত ৫ জানুয়ারি রেশন বন্টন মামলার তদন্তে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি আধিকারিকরা। অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের উপর চড়াও হয় শাহজাহান অনুগতরা। তারপর থেকেই অশান্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি।