১৮ তম লোকসভা নির্বাচন একটি ‘বাস্তবিক উৎসবমুখর নির্বাচন প্রক্রিয়া’ হবে এরকম প্রতিশ্রুতি শনিবার নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ করার সময় ঘোষণা করেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। সেই উদ্দেশ্যে ভোটার, প্রার্থী, রাজনৈতিক দল, সরকারি আধিকারিক থেকে ভোট কর্মী সকলের জন্যই একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয় কমিশনের পক্ষ থেকে। দুই নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ও সুখবীর সিং সান্ধুকে পাশে বসিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানান প্রায় দুবছর ধরে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের উৎসবকে সত্যিকারের উৎসব করে তোলার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন তাঁরা। সেই পরিস্থিতিতে দু-একজনের খারাপ কাজ তাঁদের প্রস্তুতি ও কাজের বদনাম করলে কমিশন কোনওভাবেই তা বরদাস্ত করবে না। ভোটকর্মীদের ওপরও কমিশনের কড়া নজরদারি থাকবে বলে জানানো হয়।

দেশের প্রত্যেক নাগরিককে নির্বাচন প্রক্রিয়ার অংশ করে তোলার জন্য প্রত্যন্ত এলাকাতেও পৌঁছে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিভিন্ন পরিবহন মাধ্যমের পাশাপাশি প্রয়োজনে পাহাড়ে সেখানকার পশু বা হাতির পিঠে চেপেও ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে যাবেন ভোটকর্মীরা। দেশের প্রত্যেক প্রান্তে নির্বাচনকে পৌঁছে দিতে প্রয়োজনে ভোটকর্মীরা হেঁটে যাবেন বলেও জানান রাজীব কুমার। সেই সঙ্গে তাঁদের জন্য জারি করা হয় যাবতীয় নির্দেশিকাও।

শনিবার রাজীব কুমার স্পষ্ট বলেন, “নির্বাচনে সাধারণ মানুষের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ যাতে হয় তা নিশ্চিত করাই ভোটকর্মীদের পরম ধর্ম। সেই কাজে কেউ যদি তাঁদের বাধা দেন এবং সেই তথ্য আমাদের কাছে পৌঁছায় তাহলে আমরা নির্মমভাবে ব্যবস্থা নেব। যদিও অধিকাংশ ভোটকর্মী এধরনের কাজ থেকে বিরত থাকেন, তবে যে সামান্য অংশ এই চেষ্টা করেন তাদের জন্য বদনাম অর্জন করে আমরা এতদিনের পরিশ্রম বিফলে যেতে দেব না, আমরা কড়া ব্যবস্থা নেব।”







































































































































