আঁতে ঘা লাগতেই ফোঁস করে উঠল ভারতের বিদেশমন্ত্রক। নির্বাচনের আগে CAA লাগু করা নিয়ে দেশে এতটাই কোণঠাসা বিজেপি যে বিভিন্ন ছোটখাটো প্রকল্পও প্রচার করতে যে প্রধানমন্ত্রী দ্রুত লাইভে চলে আসেন, সেই মোদি এই ইস্যুতে একেবারেই মুখ ঢেকেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সরকারের পৃষ্ঠপোষক মিডিয়ায় এসে আইনের পক্ষে সওয়াল চালাতে হচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations) সমর্থনও পায়নি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এবার সমালোচনা আমেরিকার মুখেও। তবে আমেরিকা সরব হতেই চুপ থাকেনি ভারতের বিদেশমন্ত্রক। তড়িঘড়ি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে প্রমাণ করার জোর চেষ্টা চলছে CAA নিয়ে আমেরিকার দাবি কতটা “ভুল জায়গায় (misplaced), ভুল তথ্য নিয়ে (misinformed) ও ভিত্তিহীন (unwarranted)”।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) লাগু হলে ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রভাব পড়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে আমেরিকার পক্ষ থেকে। সেই সঙ্গে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ মুসলিম অধ্যুষিত দেশে এই আইন তাদের জন্য কতটা ন্যায় বিচার এনে দেবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কীভাবে এই আইন কার্যকর হচ্ছে ভারতে তা নিয়ে নজরদারি চালানোর কথাও জানানো হয়েছে আমেরিকার তরফে। আর এই বক্তব্যের পরই নিজেদের কাজকে যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ করতে মাঠে নেমেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল প্রশ্ন তোলেন, “ভারতের বহুত্ববাদী (pluralistic) সংস্কৃতি এবং দেশভাগের পরবর্তীতে বিভিন্ন এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে যাদের জ্ঞান খুব সীমিত, তাদের এই বিষয়ে কথা না বলাই উচিত।” এরপরই কেন্দ্র সরকারের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে CAA-র পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। সেই সব যুক্তিতে জয়সওয়ালের ব্যাখ্যা, “সিএএ লাগু করা নিয়ে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের বক্তব্য, এবং আরও অনেকে এটা নিয়ে কথা বলছেন, আমাদের মতামত তাঁরা ভুল জায়গায়, ভুল তথ্য নিয়ে ও ভিত্তিহীন দাবি করছেন।”