বাংলায় একটা বহুল প্রচারিত প্রবাদ আছে, “যে মেঘ গর্জায় সে বর্ষায় না…!” লোকসভা ভোটের আগে যা আইএসএফ নেতা তথা ভাঙরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির জন্য বিশেষ ভাবে প্রযোজ্য। অনেক আগে থেকেই নওশাদ বলে আসছিলেন, তিনি ডায়মণ্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে লড়বেন। অভিষেককে হারানোর ওপেন চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হাঁকডাক করেও ডায়মন্ড হারবার থেকে পালিয়ে গেলেন নওশাদ।

আইএসএফ-এর প্রাথমিক প্রার্থী তালিকায় সেই ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রই নেই। বৃহস্পতিবার ৮ আসনে আইএসএফপ্রার্থী দিচ্ছে বলে ঘোষণা করেছে। সেই ৮ আসনের মধ্যে নেই ডায়মন্ড হারবারের নাম। বামেদের সঙ্গে আলোচনার পর ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রটি সিপিএমের জন্যই ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের রাজ্য নেতৃত্ব। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ডায়মন্ড হারবারে অভিষেককে হারানো শুধু কঠিন নয়, অসম্ভব বটে, আর সেটা বুঝেই পালিয়ে গেলেন নওশাদ। এখন যাদবপুর যাদবপুর করে লাফাচ্ছেন।
আইএসএফ-এর তরফে যে ৮ আসনে তারা লড়বেন বলে জানিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে মথুরাপুর, শ্রীরামপুর, উলুবেড়িয়া, মুর্শিদাবাদ, বসিরহাট, বারাসত, যাদবপুর ও মালদা দক্ষিণ। যাদবপুরের ক্ষেত্রে আবার তারা একটি শর্ত দিয়েছে সিপিএমকে, ত হল আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য প্রার্থী হলে, তারা প্রার্থী দেবে না। কিন্তু বামফ্রন্টের তরফে আজ প্রাথমিকভাবে যে ১৬ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যাদবপুরে বামেদের হয়ে লড়বেন সিপিআইএম-এর তরুণ নেতা সৃজন ভট্টাচার্য। ফলে যাদবপুরে লড়ছে আইএসএফ! এবং সেখানে নওশাদ-ই দাঁড়াতে পারেন।








































































































































