নন্দীগ্রাম দিবসে শহিদদের শ্রদ্ধার্ঘ্য মমতা-অভিষেকের

0
3

১৭ বছর আগে ২০০৭ সালের এই দিনে অর্থাৎ ১৪ মার্চ রক্ত ঝরেছিল নন্দীগ্রামে (Nandigram)। বাম জমানার পুলিশ আর সিপিএম হার্মাদের গুলিয়ে অকালে ঝরে গিয়েছিল ১৪টি নিরীহ প্রাণ। বাংলার রাজনৈতিক পালাবদলের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যে ঘটনা। ওই ঘটনার পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) প্রতি বছর ১৪ মার্চ দিনটি নন্দীগ্রাম দিবস (Nandigram Diwas) হিসেবে পালন করে আসছে।

নন্দীগ্রামের প্রতিটি শহিদকে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলবো নাকো নন্দীগ্রাম”। একইভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন অভিষেকও।

নন্দীগ্রাম দিবসে তৃণমূল নেত্রী বিশেষ বার্তা দিয়ে বলেন, “কৃষক দিবসে সকল কৃষক ভাইবোন ও তাঁদের পরিবারকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। নন্দীগ্রামে কৃষিজমি আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে প্রতিবছর এই দিনটিকে আমরা ‘কৃষক দিবস’ হিসেবে পালন করি।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের কৃষকরা আমাদের অন্নদাতা, আমাদের গর্ব। তাঁদের প্রতিটি প্রয়োজনে আমরা তাঁদের পাশে থাকি। ‘কৃষকবন্ধু (নতুন)’ প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা থেকে শুরু করে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি, শস্য বিমার যাবতীয় খরচ বহন করা থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আর্থিক সহায়তা, কৃষকের অকাল মৃত্যুতে কৃষক পরিবারের পাশে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে কৃষক পেনশন প্রদান, ১৮৬টি ‘কিষাণ মান্ডি’ চালু করা থেকে শুরু করে বিনামূল্যে কৃষি যন্ত্র প্রদান – সবকিছুই আমরা করেছি। আগামীদিনেও আমরা এভাবেই আমাদের কৃষকদের পাশে থাকবো।”

বাংলার ইতিহাসে ১৪ মার্চ কালা দিবস। নন্দীগ্রামের অসহায় কৃষকদের ওপর নৃশংস অত্যাচার চালিয়েছিল সিপিএম। রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট সেই সন্ত্রাসের বলি হয়েছিলেন ১৪ জন মানুষ। ২০০৭-এর ১৪ মার্চ, নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ১৪ জনের। এদিন গোকুলনগর ও ভাঙাবেড়ায় নন্দীগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় জমি আন্দোলনের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।