বাংলা শস্য বিমা যোজনার আওতায় পাট চাষিদের নাম নথিভুক্ত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। কৃষি দফতর (Agreeculture Department) সূত্রে জানা গেছে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত দু’মাস লাগাতার বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হবে। আজ রাজ্যজুড়ে কৃষক দিবস পালন করা হচ্ছে। এদিনই ২০ লক্ষ পাট চাষির সুবিধার জন্য কৃষি দফতরের তরফে একথা জানানো হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগেই জানিয়েছিলেন যে এই বিমার জন্য কৃষকদের কোনও টাকাও খরচ করতে হবে না। রাজ্য সরকারই প্রিমিয়ামের খরচ বহন করবে বলেও জানানো হয়েছে।
সারা দেশের মধ্যে এরাজ্যে সর্বাধিক পাট উৎপন্ন হয়। উৎপাদনের মোট পরিমাণ বছরে ৮০ লক্ষ বেলস। রাজ্যের মধ্যে মূলত মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান এবং হুগলি জেলার কিছু জায়গায় পাট উৎপাদন হয় । পাট চাষিদের পাশে দাঁড়াতে বাংলা শস্য বিমার আওতায় তাঁদের বিমার প্রিমিয়াম মুকুব করার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এবার যাতে সমস্ত পাটচাষি বাংলা শস্য বিমা যোজনা প্রকল্পে নাম লেখানোর সুযোগ পান সেই কথা মাথায় রেখে গ্রামে গ্রামে শিবির খোলার উদ্যোগ নেওয়া হল বলে কৃষি দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। কৃষি আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, দু’টি ক্ষেত্রে পাট চাষে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এপ্রিল-মে মাসে প্রখর রোদের কারণে পাট গাছের ক্ষতি হতে পারে। আবার অতিবৃষ্টি বা বন্যা হলে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। ফলে অন্যান্য ফসলের মতো এই ক্ষেত্রেও কৃষকদের জন্য শস্য বিমা নিশ্চিত করা আবশ্যক। সেই লক্ষ্যে বিশেষ শিবির চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।