দাসপুরের অগ্নিদগ্ধ ধূপ কারখানা পরিদর্শন, কর্মীদের ছয় মাস আর্থিক সাহায্য ঘোষণা দেবের

0
4

দুদিন পেরিয়ে গিয়েছে,এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি দাসপুরে ধূপ কারখানার আগুন। মঙ্গলবার রাতে আগুন লাগে দাসপুর রসিকগঞ্জের এই কারখানায়। বৃহস্পতিবার অগ্নিদগ্ধ কারখানা পরিদর্শন করেন সাংসদ ও অভিনেতা দেব। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সমস্যার কথা শোনেন দেব। কারখানার উল্টো দিকের মাঠে বসে শ্রমিকদের অভাব অভিযোগ শোনেন সাংসদ। আগুন লাগার কারণে পুড়ে গিয়েছে কারখানার ভিতরের সব জিনিস। কারখানায় আগুন লাগার কারণ জানা না গেলেও প্রাথমিক অনুমান শর্ট সার্কিট থেকেই ওই আগুন লাগে। কারখানার ভিতর অনেক দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে মঙ্গলবার রাতেই পৌঁছে যায় দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। বুধবারও কারখানার আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় নি। জানা গিয়েছে, ধোঁয়ার কারণে বৃহস্পতিবার বেলা পর্যন্ত কারখানার ভিতরে ঢুকতে পারনেনি দমকল কর্মীরা।ওই কারখানায় কাজ করেন প্রায় দু হাজার শ্রমিক। বৃহস্পতিবার সাংসদকে নিজেদের হাতের কাছে পেয়ে তাদের সমস্যার কথা জানান শ্রমিকেরা। মহিলা ও শিশু-সহ বহু শ্রমিক মাঠের মধ্যে দেবকে ঘিরে ধরে তাদের অভাব অভিযোগ জানান।

এদিন দেব জানান, আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর থেকেই দিদির সঙ্গে যোগাযোগে ছিলাম। কারখানার কাজ যাতে দ্রুত শুরু করা যায় তার জন্য প্রশাসন চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে, যতদিন না কারখানার কাজ শুরু হচ্ছে এবং ছ মাস পর্যন্ত ওই কারখানার শ্রমিকদের মাসে আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।  মার্চ মাস থেকেই সেই টাকা দেওয়া শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

এরই পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার থেকেই নিজের লোকসভা কেন্দ্র ঘাটাল থেকে প্রচার শুরু করেন দেব। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বৈঠক দেব বলেন, আমি জিতি বা হারি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হবে। কেন্দ্রীয় সরকার সেটা আটকে রেখেছে। রাজনীতি ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু আবার ফেরত এসেছি দিদির কথাতে।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে যখন ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম তখন অনেকেই বলেছিল কেরিয়ার শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এখনও এখনো চলছে সিনেমার শুটিং।আমাকে দেখার পরে ২০১৯ সালে অনেক সেলিব্রিটি রাজনীতিতে এসেছেন বিভিন্ন দলে। আমি দুটোকেই ব্যালেন্স করে চলি।দিদি কথা দিয়েছেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করে দেবেন বলে। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের পরে যদি কাজ শুরু না হয় ২০২৬ সালে আপনার ঠিক করে নেবেন। দিদি এত বড় মিথ্যা কথা বলেন না। রাজনীতি থেকে আমার নেওয়ার কিছু নেই।আমি চিৎকার করতে ভালোবাসি না কাজ করে দেখাতে চাই। ইডি যখন ডেকেছিল তখন আমি হাসতে হাসতে গিয়েছি। অনেকে তো অনেক বড় বড় কথা বলছে। করোনার সময় ঘাটালের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি অক্সিজেনের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।