বাংলাই মডেল, ‘নকল করছে’ অন্যরা: আরো ৩.৫ লক্ষ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ঘোষণা করে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

0
1

কথা দিয়ে কথা রেখেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার সব মহিলাদের হাতে নগদ তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে চালু করেছিলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। আগে তপশিলিদের সঙ্গে অন্য শ্রেণির ভাতার পরিমাণের বৈষম্য ছিল। সম্প্রতি সেটাও প্রায় মিটিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন বাংলার সব মহিলারা ১০০০ টাকা করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান। তপশিলি জাতির মহিলারা ১২০০ টাকা করে পান। এই মডেল অনুসরণ করছেন দেশের অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও। বুধবার শিলিগুড়িতে সামাজিক পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন এটাই ‘বাংলা মডেল’। এদিনের মঞ্চ থেকে আরও ৩.৫ লক্ষ লক্ষঅমীর ভাণ্ডার দেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

এই নিয়ে ২ কোটি ১৫ লক্ষ ৪২ হাজার মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটকে এই প্রকল্প অনুকরণ করা হয়েছে। এদিনের সভা থেকে জলপাইগুড়ি জেলার জন্য ১৫৩.৫৬ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও ১৭৭.৪৬ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। স্থায়ী ঠিকানার জন্য পাট্টা বিলি করা হয় ১০২ জনকে। চা বাগনের পাট্টা দেওয়া হয় ৫০০ জনকে। গাজোলডোবা মেগা ট্যুরিজম হাবের জন্য ৫১ কোটি টাকা, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় জলপাইগুড়ি ক্যাম্পাসের উন্নয়নে ১৭ কোটি টাকা, ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালকে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট করার জন্য ১০ কোটি টাকা, জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট ২টি ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট তৈরির জন্য ৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।