“খামখেয়ালি” অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ভোটের পরই ছাড়তে পারেন রাজনীতি! দাবি দেবাংশুর

0
1

সদ্য স্বেচ্ছাবসর নেওয়া কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা নাম ঘোষণা না হলেও পূর্ব মেদনিপুরের তমলুক আসন থেকেই যে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পদ্ম শিবিরে প্রার্থী হচ্ছেন তা কার্যত নিশ্চিত।

উল্টোদিকে প্রার্থী হিসেবে দলের জনপ্রিয় যুবনেতা, সুবক্তা দেবাংশু ভট্টাচার্যকে পেয়ে প্রবল উদ্দীপনায় প্রচারে নেমে পড়েছে তৃণমূল। দেবাংশু নিজেও প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “উল্টোদিকের লোকেরা তমলুক লোকসভা আসনে কাকে প্রার্থী করবেন জানি না। লালবাড়ি থেকে সোজা চলে আসবেন কিনা তাও জানা নেই। এখানকার মানুষকে তিনি চেনেন না। মাটিও চেনেন না। কিন্তু, আমি অনেকবার এখানে এসেছি। আমরা জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। তমলুকের মানুষ আমাদের সঙ্গেই আছেন। প্রচারের শেষলগ্নে মার্জিনটাও বলতে পারব।”

দেবাংশু দাবি করেছেন, “খামখেয়ালি” অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ভোটের পরই ছাড়তে পারেন রাজনীতি! তাঁর সঙ্গে বিজেপির বনিবনা না হলেই দল ছাড়বেন। তাই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়ার ঝুঁকি যেন তমলুকবাসী না নেন। দেবাংশুর কথায়, “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এতদিন বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকলেন। হঠাৎ করে তাঁর মুড চেঞ্জ হল। তিনি রাজনীতিতে ঢুকে পড়লেন। এলাকার মানুষজন তাঁকে নির্বাচিত করার কয়েকদিন বাদে ফের মুড চেঞ্জ হলে রাজনীতি ছেড়ে দিতে পারেন। তখন কি এখানকার মানুষ কপাল চাপড়াবেন? তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ এরকম ঝুঁকি নেবেন না। আমার বয়স ৩০ বছরের নীচে। এই প্রজন্মের একজনকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী করেছেন। তার কারণ, অনেকটাই দৌড়তে হবে। সবার পাশে দাঁড়াতে হবে। এখন আমার প্রশ্ন, একজন ৬০ বছরের লোক বেশি দৌড়বেন নাকি একজন ২৮ বছরের ছেলে? পাঁচটা বছর মানুষের পাশে দৌড়তে আমারই সুবিধা হবে।”

 

অন্যদিকে, তমলুকের তৃণমূল নেতানেত্রীদের বক্তব্য, “২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে আমাদের কাছে দিদিকে নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচিত করার বড় সুযোগ ছিল। কিন্তু, সেটা হয়নি। এবার আমরা দিদির মনোনীত প্রার্থী দেবাংশুকে নন্দীগ্রামের মাটি থেকে লিড এনে বুঝিয়ে দেব, নন্দীগ্রামের মানুষ দিদির পাশেই আছেন।”

আরও পড়ুন- টোটাল ভাঁওতা, CAA বৈধ কি না সন্দেহ! হাবড়ার মঞ্চ থেকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী