একে একে দেশের তিনটি রাজ্য নাগরিকত্ব (সংশোধিত) নিয়ম (CAR) না মানার ঘোষণা করে দিল। নির্বাচনের আগে এই আইন কার্যকর করে বিজেপি ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দাবি তুলেছিলেন সেই দাবিকেই সমর্থন করলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন (MK Stalin)। কেরালা, বাংলার পর এবার তামিলনাড়ুতেও এই আইন লাগু না করার ঘোষণা করা হল।
মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগণার হাবড়ায় পরিষেবা প্রদান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, “CAA মানুষের ওপর অত্যাচার, হয়রান করার জন্য। দুটো তিনটে সিটে ভোটে জেতার জন্য ভাঁওতা দেওয়া হচ্ছে। এতদিন কেন করেনি? আজ নির্বাচনের দুদিন আগে আইন লাগু করা বিজেপির খেলা।” সেই বক্তব্যকে সমর্থন করে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনের দাবি, “এখন যেই নির্বাচন সামনে এসেছে প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর ডুবন্ত জাহাজকে জাগিয়ে তোলার জন্য CAA-র নিষ্ঠুরতাকে জাগিয়ে তুলছেন, রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগাচ্ছেন।”
পাশাপাশি তাঁর দাবি, “কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিভাজনের রাজনীতিই মানবতার বাতিঘর (beacon of humanity) হওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন আইনকে ধর্মের ভিত্তিতে ভেদাভেদের অস্ত্র (discrimination based on religion) করে তুলেছে। এতে মুসলিম ও শ্রীলঙ্কার তামিলদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে, যেখানে এর ভেদাভেদের বীজ বোনা হয়েছে।”
মঙ্গলবার কেরালা কংগ্রেস এই আইনের প্রতিবাদে পথে নামে। বিক্ষোভ দেখানো হয় রাজভবনের সামনে। বিক্ষোভ ঠেকাতে জল কামান ব্যবহার করা হয়। রাজধানীতেও মঙ্গলবার থেকে নাগরিকত্ব (সংশোধিত) আইনের প্রতিবাদ শুরু হয়। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখায়। অন্যদিকে উত্তর পূর্বে সোমবার আইন কার্যকর হওয়ার ঘোষণা হওয়ার পরই বিক্ষোভ শুরু হয়। অসমে বিক্ষোভ শুরু করে অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (ASU)। পাশাপাশি মেঘালয় ও ত্রিপুরাতেও বিক্ষোভে নামে নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন (NESO)। মঙ্গলবার কলকাতা শহরেও কলেজ স্ট্রিটে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই (SFI)।