লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পরের দিনই রাজ্যে আসছেন ৪২ জন আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক। রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রে পৌঁছে যাবেন তাঁরা। প্রথম দিন থেকেই আয় ব্যয় সংক্রান্ত সবকিছু পর্যবেক্ষণ করবেন তাঁরা। যতদিন পর্যন্ত নির্বাচন শেষ না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত রাজ্যে থাকবেন তাঁরা। এর পাশাপাশি ৪২জন সাধারণ পর্যবেক্ষক এবং ৪২জন পুলিশ পর্যবেক্ষক আসবেন প্রত্যেক কেন্দ্রে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনের আগের দিন। ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারাও থাকবেন এই রাজ্যে।
এর পাশাপাশি একজন বিশেষ সাধারণ পর্যবেক্ষক এবং একজন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক আসবেন ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই এই রাজ্যে। তবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে আরও অনেক পর্যবেক্ষক বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োগ করা হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন পর্যবেক্ষকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে ফেলেছে এবং সেখানে নির্দেশ দিয়েছে শুধু শুধু ঘুরে বা বসে থেকে কোন কাজ নয়, একেবারে বুথে গিয়ে এবং বুথ স্তরে সব কিছুকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যার জন্য পর্যবেক্ষকদের গাড়িতে জিপিএস সিস্টেম লাগানো থাকছে যা খুব সহজেই নির্বাচন কমিশন প্রত্যেককে দিল্লি থেকে বসেই এক নিমেষে তাঁদের গতিবিধি নজরদারি করতে পারবে। যে সমস্ত পর্যবেক্ষকরা আসবেন তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে সাধারণ মানুষের সঙ্গেও তারা কথা বলতে পারেন এবং প্রত্যেক পর্যবেক্ষক তার নিজের এলাকায় গিয়ে পৌঁছানো মাত্রই সাধারণ মানুষের কাছে তাদের দূরভাষ ও যোগাযোগের নম্বর দিয়ে দেওয়া হবে। এমত অবস্থায় রাজ্যে ৮০৪৫৩টি বুথ আছে যার মধ্যে ৫২শতাংশ বুথে এবার ওয়েব কাস্টিং করা হবে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের এক কর্তার বক্তব্য অনুযায়ী এই সংখ্যাটা ভোটের সময় বাড়তেও পারে। বাকি বুথগুলোতে যেখানে ওয়েব কাস্টিং করা হবে না সেখানে সিসিটিভি, ভিডিওগ্রাফি এবং মাইক্রো অফসার্ভার রাখা হবে। অর্থাৎ কিনা নির্বাচনে নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার আগেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলি মাঠে নেমে খেলার আগেই।
আরও পড়ুন- অনুমোদন রাজ্যপালের, রাজ্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়