আজকের দিনে কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

0
3

১৯৫৫

অ্যালেকজান্ডার ফ্লেমিং

(১৮৮১-১৯৫৫) এদিন শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৯২৮ খিস্টাব্দে এই ব্রিটিশ বিজ্ঞানী পেনিসিলিন আবিষ্কার করেন। ১৯২১ সালে, একদিন ল্যাবরেটরিতে বসে কাজ করছিলেন ফ্লেমিং। কয়েকদিন ধরেই তাঁর শরীরটা ভাল যাচ্ছিল না। সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন। তিনি তখন প্লেটে জীবাণু কালচার নিয়ে কাজ করছিলেন, হঠাৎ প্রচণ্ড হাঁচি এল। নিজেকে সামলাতে পারলেন না ফ্লেমিং। প্লেটটা সরাবার আগেই নাক থেকে খানিকটা সর্দি এসে পড়ল প্লেটের উপর। পুরো জিনিসটি নষ্ট হয়ে গেল দেখে প্লেটটি একপাশে সরিয়ে রেখে নতুন একটা প্লেট নিয়ে কাজ শুরু করলেন। কাজ শেষ হয়ে গেলে বাড়ি ফিরে গেলেন ফ্লেমিং। পরদিন ল্যাবরেটরিতে ঢুকেই টেবিলের একপাশে সরিয়ে রাখা প্লেটটির দিকে নজর পড়ল। ভাবলেন, প্লেটটি ধুয়ে কাজ শুরু করবেন। কিন্তু প্লেটটি তুলে ধরতেই চমকে উঠলেন। গতকাল প্লেট ভর্তি ছিল যে জীবাণু দিয়ে, সেগুলো আর নেই। ভাল করে পরীক্ষা করতেই দেখলেন সব জীবাণুগুলো মারা গিয়েছে। চমকে উঠলেন ফ্লেমিং। কীসের শক্তিতে নষ্ট হল এতগুলো জীবাণু? দেখা গেল চোখের জল কিংবা থুথুর জীবাণু ধ্বংস করার ক্ষমতা আছে। আর দেহ-নির্গত এই প্রতিষেধক উপাদানটির নাম দিলেন লাইসোজাইম, যার অর্থ জীবাণু ধ্বংস করা। সাধারণ জীবাণুগুলোকে এটি ধ্বংস করলেও অধিকতর শক্তিশালী জীবাণুগুলোর ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়। তারপর সাত বছর কেটে গেল।

একদিন লক্ষ্য করলেন, আকস্মিকভাবেই ঝোড়ো বাতাসে খোলা জানালা দিয়ে ল্যাবরেটরির বাগান থেকে কিছু ঘাস-পাতা উড়ে এসে পড়ল জীবাণু-ভর্তি প্লেটের উপর। খানিক পরে প্লেটগুলো টেনে নিতেই দেখলেন জীবাণুর কালচারের মধ্যে স্পষ্ট পরিবর্তন। ভাল করে পরীক্ষা করতেই দেখা গেল আগাছাগুলোর উপর ছত্রাক জন্ম নিয়েছে। সেই ছত্রাকগুলো বেছে নিয়ে জীবাণুর উপর দিতেই জীবাণুগুলো ধ্বংস হয়ে গেল। এই ছত্রাকগুলোর বৈজ্ঞানিক নাম ছিল পেনিসিলিয়াম নোটেটাম। তাই এর নাম দিলেন পেনিসিলিন। এজন্য ১৯৪৫-এ তাঁকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার পাওয়ার পর ফ্লেমিং মজা করে বলেছিলেন, ‘এ পুরস্কারটি ঈশ্বরের পাওয়া উচিত, কারণ তিনিই সবকিছুর আকস্মিক যোগাযোগ ঘটিয়েছেন!’

১৮১২

উইলিয়াম কেরি ও জোশুয়া মার্শম্যান

এদিন সন্ধ্যায় প্রতিষ্ঠিত শ্রীরামপুর ছাপাখানায় আগুন লাগে। এই ঘটনায় টাইপ, অনুলিপি, বই-সহ অনেক মূল্যবান সম্পদ সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়। ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। এ সংবাদ কলকাতায় পৌঁছালে সেখান থেকে আট হাজার দুশো টাকা সংগৃহীত হয়েছিল। ইংল্যান্ডে খবর পৌঁছানোর দু মাসের মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা সংগৃহীত হয়।

১৯৩৭

বিজয়া মুখোপাধ্যায় (১৯৩৭-২০২০)

এদিন ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট কবি। সংস্কৃতের ছাত্রী ও স্কলার। সংস্কৃত ভাষায় দখল ছিল অসামান্য, কবি বুদ্ধদেব বসু ‘মহাভারতের কথা’ লেখার সময়ে বিজয়া মুখোপাধ্যায়ের কাছে সংস্কৃত শিখেছিলেন। বিজয়ার কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘আমার প্রভুর জন্য’, ‘যদি শত্রুহীন’, ‘ভেঙে যায় অনন্ত বাদাম’, ‘উড়ন্ত নামাবলী’, ‘দাঁড়াও তর্জনী’ প্রভৃতি। তিনি লিখেছিলেন, ‘পৃথিবী এখন ক্লান্ত, আমি তার চোখ/বহুদিন ধরে দেখে গেছি/আমি মরে যাব ভালোবাসা সঙ্গে যাবে/আর বর দিয়ে যাব— ভুবন ঈশ্বরী,/এইবার মুক্তগ্রহ হও।’

১৯১৫

বিজয় হাজারে (১৯১৫-২০০৪) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। ভারতীয় ক্রিকেটার। মূলত ডানহাতি ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিংয়েও পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। ১৪টি টেস্টে অধিনায়কত্ব করেন। টেস্ট ম্যাচে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রথম বিজয় হাজারে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পদ্মশ্রী উপাধি পান। ভারতের আঞ্চলিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতা তাঁরই নামে নামাঙ্কিত ‘বিজয় হাজারে ট্রফি’।

১৮৪০

দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৪০–১৯২৬)

এদিন জন্মগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট বাঙালি কবি, সংগীতকার, দার্শনিক, গণিতজ্ঞ ও চিত্রশিল্পী। তিনি বাংলা সংকেত লিপি (শর্টহ্যান্ড) ও স্বরলিপি রচনার অন্যতম অগ্রপথিক ছিলেন। পারিবারিক পরিচয়ে তিনি ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জ্যেষ্ঠ পুত্র ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা।