ভাইরাল হওয়া ইস্তফাপত্র ভুয়ো! বিজেপি যোগাযোগ করেছিল: প্রকৃত সত্য ফাঁস সায়ন্তিকার

0
1

লোকসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে অর্জুন সিংয়ের মতো অভিমানী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Sayantika Banerjee)। রবিবার, প্রার্থী ঘোষণার পরেই তাঁকে ফোন কানে মঞ্চ ছাড়তে দেখা যায়। এর পরে রাতে স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় তৃণমূলের সব পদ থেকে তাঁর ইস্তফা দেওয়ার চিঠি। কিন্তু সোমবার সব জল্পনা উড়িয়ে অভিনেতা- রাজনীতিক সায়ন্তিকা জানালেন, তিনি তৃণমূলেই (TMC) আছেন। যে ইস্তফাপত্র ভাইরাল হয়েছে তা ভুয়ো। একই সঙ্গে তিনি জানান, গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, কিন্তু তারা কোনও সাড়া পায়নি।

রবিবার, রাতেই ভাইরাল সায়ন্তিকার পদত্যাগ পত্র। সেখানে লেখা, তিনি সব পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তবে, এদিন সকালে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তিকা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, দলের কোনও পদ থেকে পদত্যাগ করেননি তিনি। যে পদত্যাগপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, তা ভুয়ো। তাতে স্বাক্ষর বা স্টাম্প কিছুই নেই।

তবে, লোকসভায় পদ না পেয়ে যে তিনি ব্যথিত সেটা গোপন করেননি তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক। তাঁর কথায়, “৩ বছর ধরে মাটি কামড়ে পড়েছিলাম, পঞ্চায়েতেও ভাল ফল হয়েছিল। কী কারণে টিকিট পেলাম না, দল আগে জানলে ভাল হত।“

২০২১ এর আগে তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিধায়কের আসনে টিকিট পান সায়ন্তিকা (Sayantika Banerjee)। কিন্তু পরাজিত হন তিনি। তবে, বাঁকুড়া ছাড়েননি তিনি। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে দল তাঁকে প্রার্থী না করায় অভিমান হয় তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদকের। বলেন, “এতদিন ধরে খেটেছি। নিশ্চয়ই একটা কিছু ভেবে। নিজেদের মতো করে আমরা একটা লক্ষ্য স্থির করে নিই। খেটেছি, পরিশ্রম করেছি সকলের মতই, কিন্তু টিকিট পাইনি। তাই কিছুটা খারাপ তো লাগবেই।

দল কেন ভরসা রাখতে পারল না সেটা দল বলতে পারবে। আমি হেরে যাওয়ার পরই ওখানে মাটি কামড়ে পড়েছিলাম। অনেক সময় শুটিং ক্যান্সেল করেও ওখানে গিয়েছি, প্রায়োরিটি দিয়েছি। পঞ্চায়েতে ভাল ফলও করেছে দল। তারপরও টিকিট পাইনি। কেন তা দল বলতে পারবে।“

এবারের লোকসভা ভোটেও রাজ্যের শাসকদলের প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন রুপালিপর্দার নায়ক-নায়িকা। মিমি, নুসরত বাদ পড়লেও, প্রার্থী তালিকায় রয়েছে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, দেব, শতাব্দী রায়, সায়নী ঘোষ। সেই কারণেই কি বেশি মন খারাপ? সায়ন্তিকা বশ্য বলছেন, অন্য কারও সঙ্গে নয়, তাঁর প্রতিযোগিতা নিজের সঙ্গেই। বলেন, “আগেরবার আমি হেরেছিলাম, এবার জিততে হবে।“

একই সঙ্গে সায়ন্তিকা স্বীকার করেন, যে বিজেপি থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। বলেন, “যোগাযোগ করেছিল বিজেপি, জবাব পায়নি“। আগামী দিনেও গেরুয়া শিবির তাঁর থেকে কোনও সদার্থক উত্তর পাবে না। অভিমান তিনি দলকেই (তৃণমূল) জানাবেন বলে মত সায়ন্তিকার।